সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আরও বলেন, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে আবারো ধর্মব্যবসায়ীদের মাঠে নামিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রীমহল।
[৩] বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে একটি গোষ্ঠীর বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই যুগ যুগ ধরে ধর্মব্যবসায়ীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এবারো তাই করছে। আমির হোসেন আমু বলেন, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ন কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। ধর্মান্ধরা দল কিংবা ব্যক্তির নয়, দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান বিরোধীদের সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
[৪] আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করা হবে।
[৫] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার কিংবা আপোষ নয়, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই।
[৬] জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দিচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
[৭] সোমবার ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন।
[৮] আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় এই আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাতীয় পার্টি- জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলিপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।