আব্দুল্লাহ মামুন: [৩] ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার হাজিরহাট গ্রামে তার জন্ম। মোহাম্মদ তোয়াহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৪ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৫০ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ভিপি নির্বাচিত হন এবং বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
[৪] ১৯৪৭ সালে তিনি এদেশে প্রথম সমাজতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫০ সালে ‘গণতান্ত্রিক যুবলীগ’ ও ‘গণনাট্য সংস্থা’ প্রতিষ্ঠা করেন। তোয়াহা ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
[৫] ১৯৫৬ সালে তিনি শ্রমিক সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান মজদুর ফেডারেশন গঠন করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে কমরেড তোয়াহা ১৯৪৮, ১৯৫২ ও ১৯৫৪ সালে কারারুদ্ধ হন। ১৯৬৯ সালের আয়ুব বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে অন্যতম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। [৬] কমরেড তোয়াহা মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের নিয়ে নিজস্ব বাহিনী গঠন করেন এবং নোয়াখালী জেলার সদর পশ্চিমাঞ্চলে একটি মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলেন। ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর হাজিরহাটে তার মৃত্যু হয়। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব,সমর চক্রবর্তী