আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] আন্তর্জাতিক সাইবার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও লোন উলফ হ্যাকার নয়, এই কাজে জড়িত থাকতে পারে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হ্যাকাররা। যদি এই ধারণা সত্য হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গেও ‘সরকারি হ্যাকাররা’ জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ তাদের। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] ২০১৬ সালে রিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকিং এর মাধ্যমে চুরি যায়। পরে এই অর্থকে ফিলিপাইনের একটি ক্যাসিনোতে সাদা করা হয়। পরে এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দাবি করা হয়, এই অর্থ চুরিতে উত্তর কোরিয়ার একটি ভ্যারিয়েবল আইপি ব্যবহার করা হয়েছে। এসব অর্থের ১ কোটি ১০ লাখ ডলার ফেরত এসেছে। এখনও ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ফেরত আনা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, এই অর্থ উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মোকাবেলায় ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। ডেইলি মেইল
[৪] অ্যাস্ট্রাজেনেকার তথ্য চুরির জন্য হ্যাকারা লিংকডইন ও হোয়াটসঅ্যাপে কোম্পানিটির কর্মীদের লক্ষ্যবন্তু বানিয়ে মিথ্যা চাকরির প্রস্তাবনা তৈরি করে। এরপর ভিক্টিমদের যে ডকুমেন্ট পাঠানো হয়, তাতে যুক্ত করা হয় ম্যালওয়ার। যার মাধ্যমে এসব ওয়ার্কস্টেশন থেকে নানান তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
[৫] সিএনএন জানায়, জেনেভার জাতিসংঘ কার্যালয়ে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার মিশন এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এর আগেই অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে পিয়ংইয়ং বলেছিলো, বিশ্বের অল্প যে কয়টি দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে, তার একটি বাংলাদেশ। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থ চুরির দৃশ্যমান কোনও কারণ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :