শিমুল মাহমুদ: [৩] অভাব অনটন আর নদী ভাঙ্গনে ভিটা হারা মানুষের বসবাস রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে। ছিন্নমূল এ মানুষের মাথা গোছার ঠায় আগুন পুড়ছে প্রতি বছর।
[৪] ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় চার বছরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বস্তিতে ১ হাজার ৪৬টি অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালে ঢাকার বস্তি পুড়েছে ৩২টি, ২০১৮ সালে ৩৩টি, ২০১৯ সালে ৩১টি এবং ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ১ মাসে রাজধানীতে ছোট-বড় ৫টি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
[৫] বস্তিবাসীর অভিযোগ, ভ‚মি দখল, আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতার দ্ব›দ্ব ও নাশকতা সৃষ্টিসহ নানা রাজনৈতিক অপকৌশল বাস্তবায়নের জন্য বস্তি দখল করতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়ে থাকে।
[৬] নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, প্রয়োজনে চাইলেই বসবাসকারী মানুষকে হঠাৎ করে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলে সহজতর পথ হলো আগুন লাগিয়ে দেওয়া। এ বিষয়গুলো নিয়ে অতীতেও অনুসন্ধানের নামে তদন্তের কমিটি হয়েছে, কোনো ফল হয়নি।
[৭] নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ থেকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকলে এর দায়িত্ব সরকারি সংস্থাগুলোকেই নিতে হবে। গৃহায়ন নীতিমালায় বস্তির ব্যাপারেও বলা আছে, তাদের নিরাপত্তা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
[৮] আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার মিতি সানজানা বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণ দেখিয়ে পুরো বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ দুর্ঘটনা দেখানোটা খুব সহজ। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :