আনিস তপন: [২] বুধবার মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বৈঠকে এ কথা বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। মন্ত্রী সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সভায় যোগ দেন।
[৩] বনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের কিছু এলাকায় বিভিন্ন কারণে বন্য হাতি নিহত হচ্ছে। এসকল বন্য হাতি নিধন প্রতিরোধে ব্যর্থ ও দায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বন্য হাতি হত্যার সাথে জড়িত মানুষদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
[৪] হাতিসহ অন্য সকল প্রকার বন্যপ্রাণির নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করারর নির্দেশ দিয়ে মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, জনসাধারণকে বন্য হাতি নিধন থেকে বিরত করতে সচেতনামূলক কর্মসূচি জোরদারসহ বন্য হাতির কারনে ক্ষতির সম্মুখীন মানুষদের সরকারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারের নির্দেশ দেন।
[৫] সভায় উপস্থিত প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল তৈরি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারনে হাতির আবাসস্থল বিনষ্ট ও বিভক্ত হয়েছে। তাদের দীর্ঘকালীন পরিচিত চলাচলের পথও নষ্ট হয়েছে। ফলে বন্য হাতী পথভ্রষ্ট হয়ে অথাবা খাদ্যের সন্ধ্যানে মানুষের ধানক্ষেতে প্রাবেশের চেষ্টা করে। ফলে স্থানীয় মানুষের পাতানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বা অন্যবিধ আক্রমনে নিহত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ময়না তদন্ত পূর্বক মামলা দায়ের করা হচ্ছে।