শরীফ শাওন: [২] বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (বাস্থই) বক্তারা বলেন, রাজউক’র সংস্কার করতে হবে। পরিকল্পনাটি কেন এবং কাদের স্বার্থে করা হয়েছে বিষয়টি দেখতে হবে। ২০১০ সালেও অভিভাবকত্ববিহীন ড্যাপ বাস্তবায়ন হয়নি। নতুন পরিকল্পনায় জলাধারের সংঙ্গা বদলের মাধ্যমে স্থপতিরা তাদের ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছে।
[৩] মঙ্গলবার সকালে বাস্থই’র সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মূল বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ।
[৪] বাস্থই পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ভবনের উচ্চতাকে নিয়ে বিতর্ক শুভঙ্করের ফাঁকি। এই বিতর্কের মাধ্যমে দখলে যাওয়া জায়গাগুলোর বিষয় আড়াল করা হয়। যা পুনরুদ্ধারে কোন নির্দেশনা বা পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, ১৩ স্থানে বিন্দু দিয়ে দরিদ্রদের আবাসনের কথা বলা হলেও তা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তার ব্যাখ্যা নেই। এটি গরিবদের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া কিছু নয়।
[৫] সাবেক সভাপতি স্থপতি আবু সাইদ আহমেদ বলেন, ট্রান্সফার অব ডেভেলপমেন্ট রাইট (টিডিআর) এখন সেলিং অব ডেভেলপমেন্ট রাইটে পরিনত হয়েছে। নতুন পরিকল্পনায় টিডিআর এর আওতায় শুধু ঐতিহ্যই নয় এর সঙ্গে কৃষি জমি, বন্যা প্রবণ এলাকার জমি প্রতি ৫ বছর পরপর বিক্রি করা যাবে। এছাড়াও ঢাকা শহরের অর্ধেক উচ্চতা বিক্রি করা যাবে।
[৬] স্থপতি ইশতিয়াক জহির বিকাশ বলেন, পরিকল্পনায় অনেক বিষয় তালিকাভূক্ত করা হলেও ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। এসবের মধ্যে রয়েছে দারিদ্র দূরিকরণ, খোলা জায়গা রাখা, নারী ও শিশুদের নিরাপদ শহর, পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় জনগনের অংশগ্রহণ, নবায়নযোগ্য জালানি, জনস্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মোবিলিটি, জল ব্যবস্থাপনা, সেনিটাইজেশন ও সুপেয় পানি নিয়ে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :