শরীফ শাওন: [২] প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ছোট বাচ্চাদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া যাবে না। স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত এবং চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে মূল্যায়ন ব্যবস্থা করা হবে ।
[৩] সোমবার অধিদপ্তর জানায়, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।
[৪] প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা মূল্যায়ন করবেন। কি পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে সে বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এসকল ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীদের যতটুকু জ্ঞান প্রয়োজন, তা না থাকলে শিক্ষকরা পরামর্শ ও সহায়তা দেবেন। আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে এ কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
[৬] প্রতিমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মূল্যায়ন কাজ শুরু হবে। যারা রেডিও, টিভিসহ কোন মাধ্যমে পাঠদান নিতে পারেনি বা সিলেবাস শেষ করতে পারেনি তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হলে, গত ছয় মাসের সিলেবাস নতুন সিলেবাসের সঙ্গে দেড় মাস পড়ানো হবে।