শিরোনাম
◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা ◈ হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ফয়সালের বাবা-মার স্বীকারোক্তি, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ মেক্সিকো কংগ্রেসে উত্তপ্ত বিতর্কে হাতাহাতি, চুল টানাটানির ভিডিও ভাইরাল ◈ হাদির জন্য দোয়া ও দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ◈ ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২০, ০৪:৫৮ সকাল
আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০২০, ০৪:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেভাবে হ্যাকারের খপ্পরে বিকাশের গ্রাহক

ডেস্ক রিপোর্ট : সাজ সকালে এক গণমাধ্যমকর্মীর ফোনে রিংটন বেজে উঠল। কলটি রিসিভ করতেই একজনের কণ্ঠ ‘হ্যালো ভাইয়া আমি বিকাশের এজেন্ট বলছি, আপনার বিকাশ নম্বরে ভুল করে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। কিছু না বুঝেই বিকাশ অফিসে একটা কমপ্লিন করেছি আপনার নম্বরে, হয়তো অফিস থেকে ফোন দিতে পারে।’

কলটি কেটে দেয়ার এক মিনিটের মধ্যেই বিকাশের অফিসের নম্বরের পূর্বে প্লাস যোগ করে (+১৬২৪৭) ফোন আসে। ‘হ্যালো স্যার, আমি বিকাশ থেকে বলছি, আপনার নম্বরটি সাময়িক সময়ের জন্য ডি-অ্যাকটিভ করা হয়েছে। আপনার নম্বরটি পুনরায় সচল করতে হলে আপনার গোপন নম্বরটি বিকাশ নম্বরের সাথে যোগ করুন। এরপর আমাদের যোগফলটি বলুন।’

যোগফল বলার পরই নম্বর হ্যাক, সঙ্গে বিকাশে থাকা ২১০০ টাকা খোয়া গেল তার। বলছিলাম রাজধানীর মতিঝিলের বাসিন্দা ও একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মরত জয়নালের কথা।

তিনি বলেন, ‘হুবহু বিকাশের নম্বর দেখে আমি ফোনটি রিসিভ করি। তবে অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাকটিভ হয়েছে এটি জানার আগেই আমার কাছে ফোনটি আসে। আমিও অকপটে বেশকিছু তথ্য দিয়ে দেই। এরপরই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়, সেখান খেকে টাকাও চলে যায়।’

একই অবস্থা তৈরি হয়েছে মুদি দোকানি আমজাদের বেলায়। তিনি বলেন, ‘বিকাশের নম্বর ভেবে ফোন রিসিভ করেই বিপদ ডেকে এনেছি। বিকাশ অফিসের নম্বর ভেবে তাদের তথ্য দেই এরপরই আমার নম্বর থেকে সব টাকা চলে যায় প্রতারকের কাছে।’

যেভাবে প্রতারণা করা হয়

প্রথমে বিকাশ এজেন্টদের কাছ থেকে কৌশলে বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করে প্রতারকরা। এরপর এজেন্ট সেজে ফোন দেয়ার পর বিকাশ হটলাইনের (১৬২৪৭) সঙ্গে মিল রেখে +১৬২৪৭ কিংবা ০০১৬২৪৭ নম্বর থেকে ফোন দেয়া হয়। পরে নম্বরটি সাময়িক হ্যাক করে ডি-অ্যাকটিভ করা হয়। এরপর গ্রাহককে বলা হয়, বিকাশ নম্বর অ্যাকটিভ করতে আপনার গোপন পিন নম্বরের সাথে বিকাশ হটলাইন (১৬২৪৭) নম্বরটি গুন করে যোগফলটি জানান। যোগফলটি জানার পরই তারা হটলাইন অর্থাৎ ১৬২৪৭ নম্বর দিয়ে ভাগ করলেই পিন নম্বরটি চলে আসে।

প্রতারণার শিকার জয়নাল বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিকাশের হট নম্বরের মতো নম্বর দেখে আমি ফোনটি রিসিভ করি। তাদের ভুল তথ্য যাচাইয়ের সময় পাইনি, এর মধ্যেই পরবর্তী ফোন এসে সব গোপন নম্বর তাদের কাছে চলে যায়। পরে যা হওয়ার তাই হলো..।’

তবে বিকাশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিকাশ থেকে কোনো গ্রাহককে তথ্য জানতে ফোন দেয়া হয় না। তাছাড়া বিকাশের হটলাইন শুধু ১৬২৪৭ নম্বরে ফোন করে গ্রাকহ তথ্য জানা ও সেবা নিতে পারবেন। হটলাইনের নামে +১৬২৪৭, কিংবা ০০১৬২৪৭ নম্বরগুলো ফেক বা হ্যাকারের।

এ বিষয়ে বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘বিকাশ থেকে কোনো গ্রাকককে ফোন দেয়া হয় না বা তার কাছ থেকে কোনো তথ্য জানতে চাওয়া হয় না। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বিকাশ হটলাইন শুধু ১৬২৪৭, এর আগে প্লাস (+) চিহ্ন বা শূন্য (০০) যোগ হওয়া মানেই ভুল নম্বর।’ জাগোনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়