শেখ আদনান ফাহাদ : সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রীয় বাজেট বাড়াতেই হবে। প্রতিটি স্কুলে সংগীতের শিক্ষক আছে কি? সমাজের নানা স্তরে সংগীত শিল্পীদের রাষ্ট্র এবং সমাজ সম্মান এবং সম্মানি দেয় কি? সংগীত, চলচ্চিত্র, সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো, গণসংগীতগুলো প্রতিদিন বাচ্চাদের শোনাতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম তৈরি হবে। কিন্তু আমরা কী দেখি? বাস্তবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বরাদ্দ খুবই কম।
প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত একটি করে ভালো লাইব্রেরি দরকার। দেশের অনেক জেলা সদরে সিনেমা হল নেই। প্রতিটি উপজেলা শহরে সরকারি উদ্যোগে একটি করে অত্যাধুনিক সিনেমা হল দরকার। বাছাই করা সিনেমা দেখানো হবে সেখানে। প্রজন্ম তৈরি করা এত সহজ না। ঢাকায় বসে ভাষণ মারলেই চলবে না। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি বঙ্গবন্ধু চত্বর থাকা উচিত। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ঘিরে তৈরি হবে সেই চত্বর। সেই চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে। তবেই না স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরি হবে।
[২] বিবিসিসহ সকল গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যদি আমাদের ভালো চান, কোনো বিশেষ সংগঠনকে ধর্মের ব্যানারে পরিচয় করিয়ে দেবেন না। ইসলাম কোনো সংগঠনের সম্পত্তি নয়। ইসলাম আমাদের সকল মুসলমানের। মুসলমান সেই যে বিশ্বাস করে আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। কোনো সংগঠনকে ‘ইসলামী দল’ বলা মানে হলো বাকি দল বা সংগঠন ইসলাম-বিরোধী? বিবিসির নিজস্ব এজেন্ডা আছে।
মুসলমানদের উস্কানি দেওয়ার কাজ করে বিবিসি। পুরো ইরাক আগ্রাসন হয়েছে বিবিসির মিথ্যাচারের উপর ভিত্তি করে। এ বড় ভয়ংকর খেলা। বিবিসি জামায়াতকেও ইসলামি দল বলে। ইসলাম আমাদের সকলের। আমরাই বরং প্রকৃত মুসলিম। যে মুসলিম ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পবিত্র যুদ্ধে শহীদ হয়েছে তারাই প্রকৃত মুসলিম।
আমাদের মা-বোনদের যে পাকিস্তানি বাহিনী ধর্ষণ করেছে, আমাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে, তাদেরক যারা সাহায্য করেছে সেই রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামাত সব জাহান্নামের নিকৃষ্টতম স্থানে নিক্ষিপ্ত হবে ইনশা আাল্লাহ।
আপনার মতামত লিখুন :