সুজিৎ নন্দী: [২] চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের চাপের কারণে কর্পোরেশনের পরিত্যক্ত এবং ঝুকিপূর্ণ ছয়টি মার্কেটের নয়টি ভবন ভাঙতে পারছে না ডিএনসিসি।
[৩] তবে এসব ভবন ধসে পড়লে তার দায় নেবে না জানিয়ে চিঠি চালাচালি করছে সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি, রাজস্ব ও প্রকৌশল বিভাগ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা-দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবারও ঘটতে পারে রানা প্লাজার মতো ঘটনা। নিউজ ২৪
[৪] ২০১২ সালে ১২টি মার্কেট পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয় বুয়েট। ২০১৭ সালে ঝুঁকির বিষয়গুলো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সুনির্দিষ্টভাবে গুলশান পাকা মার্কেটসহ ৬টি মার্কেটের ৯ ভবনকে ঝুকিপ‚র্ণ ঘোষণা করেন। কিন্তু আজও সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। উল্টো মার্কেটের সামনে ঝুকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত লেখা সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
[৫] গুলশান এক নম্বর পাকা মার্কেট। বেচাবিক্রি-মার্কেটে মানুষের আনাগোনা। সবকিছু স্বাভাবিক। বোঝার কোন উপায়ই নেই এই মার্কেট পরিত্যাক্ত-ঝুকিপ‚র্ণ। নেই কোন সতর্কবার্তাও।
[৬] এ ব্যাপারে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করবো। পাশাপাশি অত্যাধুনিক মার্কেট নির্মাণ কাজও শুরু হবে।
[৭] এ বছরের শুরুতে এসব মার্কেটের জরাজীর্ণ অবকাঠামো বিক্রয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
[৮] ঢাকা উত্তর সিটির সম্পত্তি বিভাগ জানায়, করোনা ছাড়াও কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের স্বার্থেই এসব মার্কেট অপসারণ এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবার রানা প্লাজা ট্রাজেডির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু