আফরোজা বেগম : [২] এক বছরে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। এর বিপরীতে মামলা হয়েছে ৬৭১টি।
[৩] উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, বিদেশি মদ, স্প্রিট, ওয়াস ও চোলাই মদ রয়েছে। এসব মাদকদ্রব্য গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধার করা হয়।
[৪] শনিবার এ তথ্য জানান আরপিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ্ কাওছার।
[৫] তিনি জানান, মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করছে। একইসঙ্গে মাদক ও ভেজালবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের চলতি নভেম্বর পর্যন্ত মেট্রোর ছয়টি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ ১ কোটি ৯ লাখ ৯৪ হাজার ২ শ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এতে থানায় মামলা হয়েছে ৬৭১ টি।
[৬] উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের মধ্যে ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার ৯শ টাকার ইয়াবা, ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার ২ শ টাকার গাঁজা, ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৬ শ টাকার ওয়াস, ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার হিরোইন, ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার ফেনসিডিল, ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার স্প্রিট, ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫ শ টাকার চোলাই মদ এবং ৬৩ হাজার টাকার বিদেশি মদ রয়েছে।
[৭] শহিদুল্লাহ্ কাওছার আরও জানান, গত এক বছরে ১১ হাজার ১৮১ পিস ইয়াবা, প্রায় ৩৫৬ কেজি গাঁজা, প্রায় ১৯৬.৯২ গ্রাম হেরোইন, ৭৯০ বোতল ফেনসিডিল, ২৬৯ লিটার চোলাই মদ, ১৮৫ লিটার স্প্রিট, ৫ হাজার ৩ শ লিটার ওয়াস এবং ১৪ লিটার বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এর পাশাপাশি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী শাহারুল, কাওসারসহ বিভিন্ন সময়ের অভিযানে মাদক কারবারি, মাদকসেবী, মাদক সরবরাহকারী ও মাদক চক্রের সদস্য ও হোতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৮] মাদক নির্মূলে মেট্রোপলিটন পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টা ও দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে এক বছরে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আরপিএমপির উপপুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
[৯] তিনি বলেন, এই উদ্ধার সাফল্য আরপিএমপি’র কমিশনারের দিক-নির্দেশনা, অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতার ফসল। এর সঙ্গে মানুষের মধ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিও কাজ করেছে।