শাহীন খন্দকার : [২] ঢাকা শেরে বাংলা নগরের শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ জানালেন, এখন পর্যন্ত ৪৩০ জন শিশু করোনায় শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছিল তিন হাজার ২০০ জনের।
[৩] ২১ নভেম্বর বহির্বিভাগে ৮৩৩ শিশুর পরীক্ষা হয় তার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৭০ জন। একদিনে পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৭ শিশুর। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শিশু হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগী ছিল ১০। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেটা হয়েছে ১৬। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছিল পাঁচ আর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ জন।
[৪] শিশু হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিশুর সংখ্যা ১৪ জন। এই ১৪ জনের ভেতর চারজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। বাকিরা অন্যান্য যে শারীরিক সমস্যা নিয়ে এসেছিল সেসব রোগে মারা গেছে। তবে তারা করোনাতেও আক্রান্ত ছিল।
[৫] ১৩ জুলাই শিশু হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড চালু হয়। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে ১০৬টি শিশু। বেশিরভাগেরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে। শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে জানতে চাইলে, পরিচালক বলেন, পাঁচ বছরের কম বয়সীরা কিন্তু সাধারণত বাড়ির বাইরে যায় না, বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে।
[৬] যদিও শিশুদের মৃত্যুরহার খুব কম, সুস্থ ও হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের বাইরে থেকে আসার পর বিশেষ করে মায়েরা বাইরে থেকে এসে শিশুদের স্পর্শ করার আগে সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। গোসল করে নিলে আরও ভালো।
[৭] এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাঈদা আনোয়ার জানালেন, চলতি বছর ১০ মে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ইউনিট ১৪ শষ্যা দিয়ে শুরু করলেও এখন সেখানে বেড রয়েছে ৪২টি।
[৮] তিনি বলেন, এই ইউনিটে ৫-১২ বছরের বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশি। তিন থেকে চার দিনের নবজাতকদেরও এখানে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ইউনিটে ভর্তি হয়েছে দেড় হাজারের বেশি শিশু।