শরীফ শাওন: [২] শ্রমিকরা বলেন, দীর্ঘদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও সরকার বা সংশ্লিষ্ট কোন মহল থেকে কেউ আসেনি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে কর্মক্ষম হয়ে পড়েছে। দেশের প্রচলিত শ্রম আইন এবং আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী কোনও ক্ষতিপূরণও সরকার দেয়নি।
[৩] শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তারা একথা বলেন। কর্মসূচিতে ‘শ্রমিক হত্যাকারী’ গার্মেন্টস মালিক দেলোয়ারের দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়।
[৪] কর্মসূচিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, শুরু থেকেই শ্রমিকদের অবহেলা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেরই হাত-পা ও অঙ্গহাণী হয়ে কর্মহীন হয়েছে। সরকার বা মালিকপক্ষ থেকে কেউ সহানুভূতি জানাতে আসেনি। বিজিএমইএ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি।
[৫] মোশরেফা মিশু বলেন, আগুন থেকে বাঁচতে যারা ভবন থেকে লাফ দিয়েছে, তাদের সুচিকিৎসা দেয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব ছিলো।
[৬] কর্মসূচিতে শ্রমিকরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-শ্রম আইন মোতাবেক আহত শ্রমিকদের এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ; তাদের সম্মানজনক ও বাস্তবসম্মত পুনর্বাসন এবং দীর্ঘমেয়াদি সুচিকিৎসা।
আপনার মতামত লিখুন :