শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২৬ দুপুর
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আদিবাসী প্রসূতি মা ও শিশুদের রোজ ১৮ কিলোমিটার নৌকা পারাপার করছেন রেলু ভাসাভে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : [২] ভারতের মধ্যপ্রদেশ মহারাষ্ট্রের নর্মদা নদীতে নৌকার দাঁড় টানা খুব সহজ কাজ নয়। অনেকে এই নদীতে নৌকায় চেপে যেতেই ভয় পান। কিন্তু ২৭ বছরের রেলু ভাসাভে এসবে পাত্তা দেন না। নিজে এই নর্মাদার বুকে নৌকা চালিয়ে রোজ ১৮ কিলোমিটার যাতায়াত করেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, আদিবাসী শিশু ও মায়েদের প্রতি তার ভালোবাসা থেকেই এই নৌকার বৈঠা হাতে তুলে নেয়া!

[৩] এদিকে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে আদিবাসী প্রসূতি ও শিশুরা আর অঙ্গনওয়াড়ি আসেন না। তাই বলে রেলু তো আর বসে থাকতে পারেন না। তাই নিজে একটি নৌকা ভাড়া নিয়েছেন। সেই নৌকা চালিয়েই পৌঁছে যান দাদার এবং আলিগাটের আদিবাসী গ্রামে। সেসব জায়গায় যাওয়ার একমাত্র পথ হল নর্মদা নদী।

[৪] চলতি বছর এপ্রিল থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন নিজে নৌকা টেনে আশপাশের গ্রামে ঘুরছেন রেলু। ২৫টি সদ্যোজাত ও শিশু এবং সাত জন প্রসূতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চলেছেন তিনি। তাঁদের যেন পুষ্টির অভাব না হয়, তাই দেখেন তিনি। কাজটা খুব সহজ নয়। রেলু নিজেই জানালেন, রোজ অতক্ষণ ধরে নৌকার দাঁড় বেয়ে হাতে ব্যথা হত তাঁর। বাড়ি ফিরে যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। এখন সয়ে গেছে। তবু হাল ছাড়েননি তিনি।

[৫] ভারতের মধ্যপ্রদেশ মহারাষ্ট্রের এক প্রত্যন্ত গ্রাম চিমালখাড়ি। সেখানেই অঙ্গনওয়ারিতে কাজ করেন এই রেলু। তাঁর দায়িত্ব, ৬ বছরের কমবয়সি শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন কিনা, মায়ের গর্ভে শিশু বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা এবং তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।

[৬] আশপাশের সব আদিবাসী গ্রাম থেকে শিশু এবং মহিলারা এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে যাচ্ছেন কি না। তার খোজঁ খবর নেয়াসহ দূররান্তে পারাপারির দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি মানবতার প্রতিক হয়ে । তথ্য সূত্র আজকাল ওয়েবডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়