আন্তর্জাতিক ডেস্ক : [২] ভারতের মধ্যপ্রদেশ মহারাষ্ট্রের নর্মদা নদীতে নৌকার দাঁড় টানা খুব সহজ কাজ নয়। অনেকে এই নদীতে নৌকায় চেপে যেতেই ভয় পান। কিন্তু ২৭ বছরের রেলু ভাসাভে এসবে পাত্তা দেন না। নিজে এই নর্মাদার বুকে নৌকা চালিয়ে রোজ ১৮ কিলোমিটার যাতায়াত করেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, আদিবাসী শিশু ও মায়েদের প্রতি তার ভালোবাসা থেকেই এই নৌকার বৈঠা হাতে তুলে নেয়া!
[৩] এদিকে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে আদিবাসী প্রসূতি ও শিশুরা আর অঙ্গনওয়াড়ি আসেন না। তাই বলে রেলু তো আর বসে থাকতে পারেন না। তাই নিজে একটি নৌকা ভাড়া নিয়েছেন। সেই নৌকা চালিয়েই পৌঁছে যান দাদার এবং আলিগাটের আদিবাসী গ্রামে। সেসব জায়গায় যাওয়ার একমাত্র পথ হল নর্মদা নদী।
[৪] চলতি বছর এপ্রিল থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন নিজে নৌকা টেনে আশপাশের গ্রামে ঘুরছেন রেলু। ২৫টি সদ্যোজাত ও শিশু এবং সাত জন প্রসূতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চলেছেন তিনি। তাঁদের যেন পুষ্টির অভাব না হয়, তাই দেখেন তিনি। কাজটা খুব সহজ নয়। রেলু নিজেই জানালেন, রোজ অতক্ষণ ধরে নৌকার দাঁড় বেয়ে হাতে ব্যথা হত তাঁর। বাড়ি ফিরে যন্ত্রণায় ছটফট করতেন। এখন সয়ে গেছে। তবু হাল ছাড়েননি তিনি।
[৫] ভারতের মধ্যপ্রদেশ মহারাষ্ট্রের এক প্রত্যন্ত গ্রাম চিমালখাড়ি। সেখানেই অঙ্গনওয়ারিতে কাজ করেন এই রেলু। তাঁর দায়িত্ব, ৬ বছরের কমবয়সি শিশু এবং প্রসূতি মায়েরা ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন কিনা, মায়ের গর্ভে শিশু বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখা এবং তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
[৬] আশপাশের সব আদিবাসী গ্রাম থেকে শিশু এবং মহিলারা এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে যাচ্ছেন কি না। তার খোজঁ খবর নেয়াসহ দূররান্তে পারাপারির দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি মানবতার প্রতিক হয়ে । তথ্য সূত্র আজকাল ওয়েবডেস্ক