ডেস্ক রিপোর্ট : ছেলে-মেয়ে রেখে স্বামী চলে গেছেন তাও অনেকদিন। স্বামী পরিত্যক্তা নারী (৪০) নানা কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছেন মেয়েকে। এবার রাজমিস্ত্রি ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন। নানা জনকে বলার এক পর্যায়ে নিজ মেয়ের শ্বশুর তথা বিয়াই খোঁজ দেন তার এক বন্ধুর ভাতিজির। মনস্থির করেন বিয়াইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ে দেখতে যাবেন। কিন্তু মেয়ে দেখতে গিয়ে বিয়াই ও তার বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া এলাকার চৌরাস্তার পাশে আম-জাম তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কৃষ্ণমোহন ও লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে ভুক্তভোগীর বিয়াইয়ের কথিত বন্ধু রাশেদুল ইসলাম (৩৬), ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার (৪৫), ওয়ালিয়া আমিন পাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার (৪৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), ওয়ালিয়া বাজার পাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম (২৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে, ভুক্তভোগীর বিয়াই ও ডাব বিক্রেতা রায়হান ফকির (৩৮)।
এসআই কৃষ্ণমোহন মামলার অভিযোগসূত্রে জানান, রাশেদুলের ভাতিজিকে ছেলের বউ হিসেবে দেখতে বেয়াই রায়হানের সঙ্গে ওই নারী বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রাম থেকে ওয়ালিয়ায় আসেন মঙ্গলবার বিকালে। বিভিন্ন জায়গায় কৌশলে দেরি করে সন্ধ্যার পর মেয়ে দেখতে যান ওই নারী। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রায়হানের পর রাশেদুল ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এরপর রাশেদুলের মাধ্যমে মোবাইলফোনে খবর পেয়ে আরও ১২ ব্যক্তি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। সকালে ভুক্তভোগী নারী ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছে। এরপর বিকাল সোয়া তিনটার দিকে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযানে পুলিশ ওই অভিযুক্ত সাত জনকে গ্রেফতার করে বলে জানান এসআই কৃষ্ণমোহন।
সূত্র-বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :