শাহীন খন্দকার : [২] এ বিষয়ে এখনই অধিকমাত্রায় সচেতন হতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেছেন, ধূমপান পরিহার ও দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ফুসফুসের সিওপিডি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। শরীরের ব্রেন, হার্ট, লিভারের মতোই ফুসফুসও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
[৩] বিশ্ব সিওপিডি দিবস ২০২০ উপলক্ষে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সিওপিডি রোগ (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পুলমানারি ডিজিজ) হলো-ফুসফুসের একটা অসুখ, যাতে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
[৪] সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সিওপিডির ফলে কাশি দেখা দেয়, সেই সঙ্গে কফ, নিঃশ্বাসে সাঁ সাঁ শব্দ, দম ফুরিয়ে যাওয়া, বুক হালকা লাগা, ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। ধূমপানের সঙ্গে এই অসুখটি যুক্ত। যাদের এটা হয়, তাদের অনেকেই ধূমপান করেন বা এককালে করতেন। এ ছাড়া বাতাসের দূষণ, ধুলো, ধোঁয়া, ইত্যাদি যা আমাদের ফুসফুসে প্রদাহের সৃষ্টি করে, এর জন্যও এই রোগ দেখা দিতে পারে।
[৫] বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা.সাহানা আখতার রহমান বলেন, সিওপিডি প্রতিরোধে এন্টি টোবাকো ক্যাম্পেইন জোরদার করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে সিওপিডি ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেন উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য বক্ষব্যধি বিভাগের আরো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। বায়ু দূষণসহ সব ধরনের দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের বায়ুসহ পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে।