লিহান লিমা:[২] মার্কিন সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটিতে নির্বাচন নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে জবাবদিহি করেছেন ফেসবুক ও টুইটারের দুই প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ও জ্যাক ডরোসি। দু’জনই নিরপেক্ষতা অবলম্বনের কথা বলেছেন এবং মিথ্যে তথ্য, ঘৃণাত্মক মন্তব্য এবং সহিংসতা প্রতিরোধে নিজেদের নীতির সপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আল জাজিরা
[৩]ডেমোক্রেট সদস্যরা তাদের প্রশ্ন করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জালিয়াতির ভুয়া দাবীর পোস্টের প্রেক্ষিতে তারা কি পদক্ষেপ নিয়েছে। ডেমোক্রেট সিনেটরদের অভিযোগ, এই দুই মাধ্যম ভুয়া তথ্য, ঘৃণাত্মক মন্তব্য ও সহিংসতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
[৪]জুডিশিয়ারি কমিটির রিপাবলিকান সদস্যরা প্রশ্ন করেছেন, তারা নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছিলেন কি না। রিপাবলিকান সিনেটররা অভিযোগ করছেন, সামাজিক মাধ্যমগুলো রক্ষণশীলদের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং ভুয়া তথ্যের ট্যাগ লাগাচ্ছে। সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামসহ কয়েকজন রিপাবলিকান ট্রাম্পের নির্বাচনে জালিয়াতি ও ভোটে অনিয়মের অভিযোগকে সমর্থন দেন।
[৫]শুনানিতে জাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক ব্যক্তি ও দল ভেদে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সহিংসতা ও মিথ্যে তথ্য প্রতিরোধে কাজ করছে। ডরোসি বলেন, ‘সাধারণ ব্যবহারকারীদের থেকে বিশ্বনেতাদের অ্যাকাউন্টকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয়। যখন কেউ আর পদে থাকবেন না তখন তার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সুরক্ষা তুলে নেয়া হবে।’
[৬]জুডিশিয়ারি কমিটির দুই দলের সদস্যরাই সামাজিক মাধ্যম সম্পর্কে সেকশন ২৩০ এর যে ধারাটি রয়েছে সেখানে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ব্যবহারকারীদের অবৈধ ও সহিংস পোস্ট থেকে দায় মুক্তি দেয়া হয়েছে, যা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন। তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমগুলোকে অবশ্যই ব্যবহারকারীদের কার্যক্রমের আইনী দায়ভার নিতে হবে।