শরীফ শাওন: [২] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যক্ষ জানান, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের কোন ভিত্তি নেই। এর মাধ্যমে সৃজনশীলতা বা মেধা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। মূলত এটি জনগণের চোখে ধুলা দেয়া। প্রক্রিয়াটিতে শিক্ষার্থীরা বাসায় অন্যান্যদের সাহায্য নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির সুযোগ থাকে। বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের আগের অবস্থানের উপর নির্ভর করবে।
[৩] এ কে স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেন, আমরা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করে অতি উত্তম, উত্তম, ভালো ও আরও ভালো করতে হবে এ ধরনের মন্তব্যের দ্বারা মূল্যায়ন করছি।
[৪] মিরপুর বাংলা হাই স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বলেন, নিজের হাতে অ্যাসাইনমেন্টগুলো করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ধরে রাখতে এটি ভালো উদ্যোগ। উন্নত দেশগুলোতে পরবর্তী শ্রেণিতে ট্রিটমেন্ট ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে আমাদের দেশেও তা হওয়া উচিত।
[৫] মাউশি মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সকল বিদ্যালয় পরিদর্শন শুরু করেছি। সকল প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়নের কাজ চলমান আছে।
[৬] অভিভাকরা জানান, রাজধানীর বেসরকারি স্কুলগুলো অ্যাসাইনমেন্ট পেপারের বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। চাহিদা মোতাবেক কাগজ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়া হচ্ছে না। ঢাকা রেসিডেন্টসিয়াল মডেল কলেজ ও চেতনা মডেল একাডেমির চাহিদা, অ্যাসাইনমেন্ট পেপারের নাম-শ্রেণি সম্বলিত প্রথম পৃষ্ঠা রঙ্গিণ অফসেট পেপার হতে হবে। এ কে স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথম পৃষ্ঠা অফসেট পেপার হতে হবে।
[৭] অধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ ফোর সাইজের কাগজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। শুধুমাত্র সৈন্দর্য্য বাড়াতে আমরা প্রথম পৃষ্ঠা অফসেট কাগজ চেয়েছি। এটা শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।