ইমরুল শাহেদ : গতিশীল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির কার্যক্রম হঠাৎ করেই থমকে গেছে। বর্তমানে যে কমিটি এই সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছিল এবং সমিতির স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করছিল তা দীর্ঘদিনের বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে নেতৃত্বে এসেছিল। এই নেতৃত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে পুনরায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি পৃথক আদেশে বলেছে, বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২০২১ মেয়াদী নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে অভিযোগের বিষয়সমূহ তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
আদেশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির ২০১৯-২০২১ কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি বাতিল করে উক্ত সমিতির কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ১০ ধারা মোতাবেক খন্দকার নূরুল হক, উপসচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির প্রশাসক নিয়োগ করা হলো। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ১২০ (একশত বিশ) দিন সময়ের মধ্যে সংগঠনের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনাসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরপূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন। এদিকে জায়েদ খানের কাজে কোন বাঁধা নেই বলে পৃথক আদেশ দেয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অবৈধ বলা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব। কারণ এখানে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে এখন আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।’