শিরোনাম
◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বৈঠক, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক কাল ◈ ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক হয়েছে, মুনাফা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকেরই: বিটিএমএ সভাপতি ◈ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসবে সোলার প্যানেল! ◈ বিমানবন্দরে আগুন, ওষুধ শিল্পে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা ◈ অসদাচরণের অভিযোগে উপস্থাপক তাবাসসুমকে অব্যাহতি ◈ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন কেয়ারটেকার গভমেন্টের আদলে নিতে হবে: মির্জা ফখরুল  ◈ ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি করা অনেক প্রকল্পের অস্তিত্বই নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: স্কুল-কলেজে শনিবারও ক্লাস, চলবে যত দিন ◈ বাংলা‌দে‌শের বিরু‌দ্ধে ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডিজ বিরল ঘটনার জন্ম দিলো ◈ আন্দোলনরত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন আশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:২০ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যাদের বসাচ্ছেন তারা কি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিল ?

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক আদর্শ যাচাই না করেই অনেককে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, আজকে এত সমর্থন আওয়ামী লীগের। সবখানে আওয়ামী লীগ। বাকশালের সময়ও এমনটা দেখেছি। আমাদের ভয় লাগে। কোথায় কাকে রাখছেন, তাদের হিসাব করছেন? এই ছেলেটি কখনো ছাত্রলীগ করেছে? একদিন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছে? তার বাপ-দাদা আওয়ামী লীগ করেছেন? তারা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান? তদবিরে যাকে-তাকে ‘কী পয়েন্টে’ বসিয়ে দিচ্ছেন। সময় দেওয়া হলে সংসদে তাদের পরিচয় তুলে ধরার কথাও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

’৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল উল্লেখ করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, মণি ভাইয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেদিন আমাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় আমাদের ডাকলেন। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের একটি মাত্র কথা বলেছিলেন, তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তোমাদের যুবলীগের একটি ছেলেও যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আমি এক্সপেল করে দেব। এরপর মণি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললেন। আমরা নিচে দাঁড়িয়ে থাকলাম। মণি ভাই নিচে নেমে একটি সিগারেট ধরিয়ে চলে গেলেন। একটা কথাও বললেন না। মুখটা মলিন ছিল। কী ষড়যন্ত্র ছিল? যেটা বঙ্গবন্ধু মণি ভাইকে বললেন। পর দিন সেটা আমরা জানতে পারতাম বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যের ঘটনা উদঘাটনে কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত আপনারা একটি কমিশন গঠন করতে পারলেন না! যারা আত্মস্বীকৃতি খুনি, তাদের বিচার করতে পারছি, কিন্তু এর পেছনে কী ছিল?

১৯৭১ এর ২৫ মার্চের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ওই সময় আমরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ক্যাম্পে আছি। থমথমে পরিবেশ। আমরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় গেলাম। তিনি নিচে নেমে আসলেন। বললেন, তোমরা যাও। তোমাদের সমস্ত ব্যবস্থা আমি করেছি। যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও। ভয়ংকর যুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধু তো প্রথম রাতেই যুদ্ধের ঘোষণা করে দিয়েছেন। কেউ কেউ ঘোষণার কথা বলে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়