কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সেখানে আমাদের মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হলে সেটি নিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা হতেই পারে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আগের তুলনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো।
[৩] কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগসহ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে।
[৪] ভারতের দৈনিক যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় তারা সেখানে বাংলাদেশের পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভ চলাকালে সংগঠনটির প্রায় ৬শ’ নেতাকর্মীকে আটকের পর ছেড়ে দেয় কলকাতা পুলিশ।
[৫] বাংলাদেশের পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক পত্র পাঠানোর বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে।
[৬] সাবেক সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, বিক্ষোভকারীদের যদি কিছু বলার থাকে দু’জন গিয়ে মিশনে স্মারকলিপি দিতে পারতো। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে যাতে এখানের কোনো উগ্রপন্থীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
[৭] নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, উভয় দেশের সম্পর্কের জায়গা থেকে এ ধরণের ঘটনা দুঃখজনক। এ ধরণের ঘটনা উভয় দেশের মধ্যে অবশ্যই কিছু না কিছু প্রভাব পড়ে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :