শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজসিক জীবনযাপনে উগ্রতায় অভ্যস্ত ছিলেন ইরফান সেলিম

ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের মেজো ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার সমর্থিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম রাজসিক জীবনযাপন করেও উগ্র আচরণে অভ্যস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সোমবার তিনি র‌্যাবের অভিযানে আটক হওয়ার পর তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ছোটবেলা থেকেই ইরফান সেলিম বদমেজাজি ও উগ্র আচরণ করতেন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তার বডিগার্ডরাও মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন বলে জানান তারা।

এছাড়া চকবাজারের মদিনা আসিক টাওয়ারে রাতভর রঙ্গলীলায় মত্ত থাকতেন কাউন্সিলর ইরফান। প্রায় প্রতিদিনই ওইসব আসরে মদ-নারী নিয়ে ফুর্তি করতেন তিনি।

ওই সময় আতশবাজির শব্দে রাতে আশপাশের লোকজন ঘুমাতে পারতেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। থানা পুলিশের নাকের ডগায় সব ঘটলেও নীরব থাকতে বাধ্য থাকতেন সবাই।

জানা গেছে, একদিকে এমপিপুত্র ও অন্যদিকে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করীম চৌধুরীর জামাতা এবং নিজে কাউন্সিলর ছিলেন ইরফান। ঢাকায় তাদের পরিবারের অন্তত ১৫০টির মতো সুউচ্চ ভবন রয়েছে।

শুধু পুরান ঢাকায় ৩০টি ভবন রয়েছে সেলিম পরিবারের। ওইসব ভবন মার্কেট ও বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া সিমেন্ট, জাহাজ, ফ্রুটস ও ট্রেডিং ব্যবসা রয়েছে ওই পরিবারের।

তিন ভাইয়ের মধ্যে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম দ্বিতীয়। তাছাড়া বড় ভাই সোলায়মান সেলিম পিতার ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি পুরান ঢাকার আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট ভাই আশিক সেলিম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বলে জানা গেছে।

চকবাজারের ভ্যানচালক হোসেন মিয়া বলেন, দেবীদাস লেনের ওই বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যরা বের হওয়ার সময় রাস্তার দুই মাথা বন্ধ করে দিতেন কাউন্সিলরের বডিগার্ডরা।

মাঝে কোনো ভ্যান রিকশা পড়লে চাকা কেটে দেয়া ও গালিগালাজ করা ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না বলে জানান তারা।

র‌্যাব জানায়, এমপিপুত্র ইরফান সেলিম এলাকার চাঁদাবাজির সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে। এজন্য ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ ব্যবহার করা হতো। এগুলো ব্যবহার করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আটক করে তার টর্চার সেলে নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করত।

এজন্য দেবীদাস ঘাট লেনে একটি ফ্ল্যাটে টর্চার সেল গড়ে তোলা হয়েছে। ওই সেলে মানুষকে টর্চারের বিভিন্ন যন্ত্র ও আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যা বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং শাখার কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আশেক বিল্লাহ।

এছাড়া সোমবার রাত ৮টার দিকে চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ারের ১৬ তলায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই সময় একটি বড় রুমে আরেও একটি টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ওই সেল থেকে ওয়্যারলেসের কন্টোল ট্রান্সজেস্টার, বাইনাকুলার, হিট দেয়ার ট্রান্সমিটার, ১টি ছোরা, একটি হকস্টিক, বাঁধার রশি, চোখ বাঁধার গামছা, ইয়াবা খাওয়ার ফয়েল, ওয়াকিটকি, স্কু-ড্রাইভারের একটি বক্স, স্যাভলন ও ভিডিও রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়। যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়