শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৩৪ রাত
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ০১:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] যশোরে শ্রমিক মান্নাত হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] যশোরে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই খুন হন স্কেভেটর শ্রমিক ইস্রাফিল হোসেন মান্নাত। তার ভগ্নিপতি শাহ আলমসহ ৭ জন ওই হত্যার সাথে জড়িত। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ, ইট ও মোটরসাইকেল। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ের আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

[৩] আটককৃতরা হলো যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন, শহরের পুরাতন কসবা কাঠালতলা নান্টুর বাগান এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রিফাত, সুজলপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান শেখ ও শফিকুল ইসলামের ছেলে নয়ন হোসেন।

[৪] হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আশরাফ হোসেন বলেন চলতি ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাতে নিজের বাইসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন মাটিকাটা স্কেভেটরের হেলপার মান্নাত। রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি তিনি। পরের দিন ২৪ অক্টোবর শনিবার সকালে কারবালা এলাকার রাস্তার পাশ থেকে তার মাথা থেতলানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

[৫] ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার আরো জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত রোববার (২৫ অক্টোবর) যশোর সদর ও অভয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত আল আমিন, রায়হান শেখ, রিফাত ও নয়ন হোসেন নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি হত্যাকাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ, ইট ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা জানিয়েছে, নিহত মান্নাতের ভগ্নিপতি শাহ আলমের সাথে পরকীয় সম্পর্ক ছিল তার স্ত্রী সুমির। হত্যা ঘটনার তিন মাস আগে শারমিন সুলতানা সুমি বাড়ি থেকে চলে যায়। সুমি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরে যেয়ে গোপনে শাহ আলমকে বিয়ে করে। মান্নাত সুমিকে খুঁজতে থাকে। কোটচাঁপুরে যেয়ে তাকে পায়। কোটচাঁদপুরের এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শালিস করে শাহ আলমকে ডিভোর্স দেয় সুমি। যশোরে ফিরে আসার পর শাহআলম তার ভাগ্নে শামিম, রিফাত, নয়নসহ শাহআলমের লোকজন মান্নাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

[৬] মান্নাত হত্যাকান্ডে জড়িত শাহ আলম, ভাগ্নে শামিম ও সুমিকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো গোলাম রব্বানী, মো তৌহিদুল ইসলাম, জামাল আল নাসের, অপু সরোয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার মনিরামপুর সার্কেলের শোয়েব আহম্মেদ খাঁন, নাভারন সার্কেলের জুয়েল ইমরান যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান, ও ডিবির ইন্সপেক্টর মাসুম কাজী। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়