দেবদুলাল মুন্না:[২] ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের অধ্যাপক ও স্পেশাল থেরাপিস্ট রাবেয়া ফেরদৌস গতকাল এ কথা জানান। মঙ্গলবার বিশ্ব অকুপেশনাল থেরাপি দিবস।২০১০ সালের এই দিনটিতে (২৭ অক্টোবর) প্রথমবার দিবসটি পালিত হয়।
[৩] চিকিৎসক রাবেয়া ফেরদৌস বলেন, অকুপেশনাল থেরাপি হলো এমন একটি চিকিৎসা ও সেবা, যার মাধ্যমে একজন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে অসুস্থ বা প্রতিবন্ধীকেও স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। অকুপেশনাল থেরাপিস্টরা প্রতিবন্ধী শিশুদের যেমন অটিজম, অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভ ডিস-অর্ডার বা এডিএইচডি, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি, স্পাইনা বাইফিডা, বাঁকানো পা বা ক্ল্যাব ফিট, গুলেন বারি সিনড্রোম বা জিবিএস, মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস ইত্যাদির চিকিৎসাসেবা প্রদান করে থাকেন।
[৪] তিনি জানান, একজন অকুপেশনাল থেরাপিস্ট প্রথমে পর্যবেক্ষণ করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন। এর মধ্যে রয়েছে রোগ শনাক্তকরণ, শিশুর মেডিক্যাল ইতিহাস বা জন্ম নেওয়ার আগে গর্ভাবস্থায় মায়ের শারীরিক অবস্থা এবং জন্মের পর থেকে শিশুর বিকাশজনিত বিভিন্ন সমস্যার বিস্তারিত ইতিহাস ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা করেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, দেশের সব হাসপাতালে এ বিভাগটি গড়ে উঠে নি। ফলে চিকিৎসক স্বল্পতার পাশাপাশি এ চিকিৎসা সর্বস্তরে এখনও পৌছায়নি।