নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মেহেদী রাঙ্গা হাত নিয়ে বাসর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে সুলতান মাহমুদ বাদশা নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত ৯ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯ টায় উপজেলার বারগাঁও ইউপির ভাভিয়াপাড়া ওমর আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ওমর আলী হাজী বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ বাদশার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ছাতারপাইয়া ইউপির সুরত ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ হানিফের মেয়ে পূষ্প আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রোববার সকালে বড় বোন লিজা আক্তার বড় ভাই এবং ভাবির জন্য নাস্তা নিয়ে যায়। এ সময় ভাইকে রুমে না পেয়ে সে এদিক-ওদিক খুঁজতে থাকে। পরে পার্শ্ববর্তী রুমের দরজা বন্ধ থাকায় একাধিকবার দরজা খুলতে বলেন তিনি। দরজাটি না খোলায় সবার মধ্যে সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো বাদশার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে সবাই চিৎকার শুরু করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বাদশার বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, তার একমাত্র ছেলে বাদশা কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তার কোনো কারণ তিনি জানেন না। জানার আগ্রহ নেই বলেও জানান তিনি।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো.গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।