শরীফ শাওন: [৩] বিএলএফ জানায়, স্থানীয় বাজারে সরবরাহ লক্ষ্যে গড়ে ওঠা পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত এসকল শিশু শ্রমিকদের বয়স ৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। আলোচকরা জানান, এসকল শিশুরা প্রায়ই মজুরি পায়না এবং তাদের কর্মঘণ্টাও থাকে না।
[৪] শ্রমিক প্রতিনিধীরা বলেন, শিশুশ্রম রোধে কারখানাগুলোতে নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করা উচিত। কারখানা মালিকরা জানান, ৫ বছরের শিশু শ্রমিক কাজ করার বিষয়টি উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। অভিভাকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব।
[৫] রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) এর এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলা হয়।
[৬] গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিনের একটি প্রক্রিয়া শিশুশ্রম। আমরা লক্ষ্য করেছি, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা পোশাক কারখানায় কাজ করতে আসে। ৪০ বছরের অধিক বয়সীরা কারখানা কম কাজ করে থাকে। মূলত ভুয়া সনদের মাধ্যমে তারা কারখানাগুলোতে কাজ নিয়ে থাকে।
[৭] তিনি বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে সর্বপ্রথম তাদের অভিভাবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকলে অভিভাকরা বাধ্য হয়েই সন্তানদের স্কুলের পরিবর্তে কর্মস্থলে পাঠান।
[৮] শ্রমিক নেতা অ্যাড. ইসমাইল বলেন, স্বাধীনতার পর বাজেট ৬ গুণ বাড়লেও রেশনিং বা শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারায় এমন হচ্ছে। শিশুরা জাতীর ভবিষ্যৎ, তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে জাতীকে ধ্বংশ করা হচ্ছে। শিশু ও সাস্কৃতিক মন্ত্রণালয় শুধু নাম ও টেবিল বৈঠকের জন্য নয়, বাস্তবিকভাবে জাতি ও দেশ রক্ষায় শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে।