রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ তথ্য দিয়ে বলছে, যতই শীত তীব্র হচ্ছে এবং মানুষ ঘরে বেশি থাকছে ততই সংকট বাড়ছে এবং করোনা আরও সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে। সিডিসি’র জরিপ বলছে, অতিরিক্ত মারা যাওয়া এসব মার্কিন নাগরিকের বয়স ২৫ থেকে ৪৪ বছর। সিএনএন/ডেইলি মেইল
[৩] যুক্তরাষ্ট্রে বছরে গড় মৃত্যু করোনারকারণে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ৮৫ বছর বয়স এমন ব্যক্তিদের মৃত্যু বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
[৪] অশ্বেতাঙ্গ মারা গেছে বেশি যাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ এশিয় আমেরিকান, ৩৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ও ৫৪ শতাংশ হিসপানিক।
[৫] সিডিসি অব্যাহতভাবে মাস্ক পরিধান, ঘনঘন হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে বলছে কোভিড হওয়ার পরও কেউ চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ায় কিংবা হৃদরোগ, ডেমনেশিয়া, স্ট্রোক ও ডায়বেটিস বেড়ে যাওয়ার পরও হাসপাতালের চিকিৎসা না নেয়ায় এধরনের অতিরিক্ত মৃত্যুর কারণ।
[৬] গত মার্চের পর প্রতি সপ্তাহে এধরনের অতিরিক্ত মৃত্যু বাড়ছে। মধ্য এপ্রিল ও আগস্টের শুরুতে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫টি রাজ্যে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি অতিরিক্ত মৃত্যু হার বেড়েছে ৫ শতাংশ।
[৭] যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ এ্যান্থনি ফাউচি ও সিডিসি’র পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড সতর্ক করে বলেছেন আসন্ন ছুটির মৌসুম ও ঘরে পার্টি বা জমায়েতের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াতে পারে।