তরিকুল ইসলাম: [২] মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসনের জন্যে চাপ দেয়া থেকেও বেশি নজর রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহে।
[৩] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অনলাইন সম্মেলনের আয়োজন করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা সম্মেলনে চলতি বছরে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা অর্ধেকেরও কম অর্থ সংগৃহীত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরবে।
[৪] আগামী ২২ অক্টোবর ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও যথাযথভাবে পরামর্শ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৫] সম্মেলনের কয়েকটি উদ্দেশ্যর সঙ্গে বাংলাদেশ একমত নয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ মেয়াদী মানবিক সহায়তার পরিকল্পনা ও উচ্চমানের জীবনযাপনের কথা ভাবছে, যা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঙ্গে মেলে না।
[৬] প্রত্যাবাসন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার, যদি সম্ভব হয় আমরা আগামীকাল তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত।
[৭] তাদের উচিত হবে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রত্যাবাসন দ্রুত করার জন্যে চাপ দেওয়া। বাংলাদেশ দাতাদের কাছে বিশাল আর্থ-সামাজিক ক্ষতির হিসাবও উপস্থাপন করেছে।
[৮] পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা লংটার্ম পরিকল্পনায় যেতে চাইনা। আমরা চাই প্রত্যাবাসন এবং সে লক্ষে কাজ করছি।
[৯] বৃহস্পতিবার ঢাকায় সাংবাদিকদের মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে কাজ করছে।
[১০] ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডোমিনিক র্যাব এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের জবাবদিহিতা ইস্যুটির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, আমরা দায়বদ্ধদের দায়বদ্ধ রাখব। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :