দেবদুলাল মুন্না:[২] এ তথ্য ভয়েস বাংলাদেশ সংস্থার। গত মার্চ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে অনলাইন জরিপের মাধ্যমে গবেষণা করে এ সংস্থা দেখে যে, ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনেরই ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ব ট্রমা দিবস।
[৩] সড়কসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সুচিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিবছর ১৭ অক্টোবর দিবসটি পালন করা হয়।
[৪] ট্রমায় আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহজাবিন হক বলেন,ট্রমা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানুষসৃষ্ট কারণে হতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে অনেক কারণ রয়েছে। আর মানবসৃষ্ট কারণেও অনেকের ট্রমা হয়। যেমন করোনার মতো মহামারীর ভয়ে ট্রমায় আক্রান্ত হচ্ছে।
[৫] তিনি জানান, সাভারের রানা প্লাজার ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে ট্রমায় আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে উদ্ধার করতে গিয়ে আবার কেউ কেউ টিভিতে দেখেই ট্রমায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই বলা যায়, নিজে দেখে ও শুনে বা অভিজ্ঞতা শুনে ট্রমা হতে পারে। অনেকে ট্রমা হলে মানিয়ে নেয়। হোঁচট খেয়ে খেয়ে চলে।
[৬] তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে সে ভালোই তো আছে। কিন্তু আসলে সে ভালো নেই। যখন তার জীবনে কঠিন সময় আসে, তখনই দুর্বল হয়ে যাবে। অস্থিরতা অনুভব করবে। যেটা অন্য মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিতে পারবে, সেটা কিন্তু সে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারবে না। সেটার কারণে স্বাভাবিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না।