আশরাফুল আলম খোকন: স্ক্রিনশট বানানোর টেকনিক অনেক পুরনো। আমার নামে একটা স্ক্রিনশট বানিয়ে ছড়াচ্ছে জামাতিদের একটি ছাত্রসংগঠন। আমি নাকি চ্যানেল আইয়ের টকশোতে একটি কমেন্টে নুরুকে ধর্ষক বলেছি। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের সেঞ্চুরির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লিখে আমি নাকি মহা অপরাধ করেছি। রাম ছাগল আর কাহাকে বলে। জামাতি ব্যাকড এই ছাত্র সংগঠনের নেতারা গত ৩-৪ দিন যাবৎ লাইভে এসে আমার বিরুদ্ধে যাঁ-তা বলতেছে। অবশ্য এর আগেও টকশোতে, ফেসবুকে বহুবার বলেছে। আর তাদের ফলোয়ার্সদের কমেন্ট দেখলে মনে হয় না যে ওরা মানুষের পরিবেশে বড় হয়েছে। এসব রামছাগলদের কথাবার্তা এক কান দিয়ে ঢুকলেও অন্য কান দিয়ে বের করে দিই। অনেকেই বলতে পারেন, গুরুত্ব দিই না, এরপরও কেন লিখলাম। লিখলাম, কারণ আমি যদি ওখানে কমেন্ট করতাম তাহলে কি লিখতাম তা বলার জন্য। আমি তাকে ধর্ষণকারীর সহযোগী বলতাম। আমি তাকে শপথ ভঙকারী লিখতাম। কারণ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী (যে কিনা আবার তার সংগঠনের কর্মী) সেই মেয়েটি তার (নুরুর) সহযোগীদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুর কাছে বিচার চেয়েছিলো।
বিচারের পরিবর্তে নুরু তাকে ধমক দিয়েছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পতিতা বানিয়ে দেবার হুমকি দিয়েছে। এর বিচার চাইতাম। লাইভে এসে ধর্ষিতা অসহায় মেয়েটির চরিত্র নিয়ে সে প্রশ্ন তুলেছে। এর বিচার চাইতাম। এই বিষয়ে সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলে সে ওই সাংবাদিককে শাসিয়েছে এবং ওই সাংবাদিকের ফোন নাম্বার ফেসবুকে দিয়ে তার অনুসারীদের বলেছে, তারা যেন ফোন করে ওই সাংবাদিককে হেনস্থা করে এবং ওরা তাই করেছে। এই অসভ্যতার বিচার চাইতাম। সর্বোপরি ডাকসু ভিপির মতো পবিত্র একটি পদকে সে কলংকিত করেছে, এর বিচার চাইতাম। আর নুরুর টকশো দেখার এতো সময় কই? এর আগে রুহুল কবির রিজভী সাহেবও আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন, ওইটা নিয়েও কোনো কথা বলিনি। কারণ তিনি রাজনৈতিক ভাষায় বলেছেন, নুরুদের মতো ছাগলামি করেননি। ফেসবুক থেকে