এএইচ রাফি: [২] সিলেটের পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনার পর দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইঁয়া। তাকে নিয়ে নিজের জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জেও চলছে সমালোচনার ঝড়। তার এই কর্মকান্ডে হতাশ স্থানীয়রা, এই ঘটনায় তার বিচারও দাবি করেছেন তারা।
[৩] আকবর হোসেন ভূইঁয়া প্রথমে কনস্টেবল পুলিশের পদে চাকুরীতে ঢুকেন। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশে চাকুরীতে বর্তমানে আছেন। পুলিশে চাকুরীতে যোগদান করে বদলে গেছে আকবর হোসেন ভূইঁয়ার পরিবার।
[৪] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা বগইর গ্রামে জাফর আলী ভূইয়া বড় ছেলে পুলিশের সহকারি পরিদর্শক (এস.আই) আকবর হোসেন ভূইঁয়া। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নিজের অবস্থান দ্বিতীয়। সবার বড় বোন। পিতা জাফর আলী ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পুলিশে চাকুরী হওয়ার পর যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান আকবর। পেয়েছেন সোনার হরিণ, বনে গেছেন বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক। গ্রামের বাড়িতে নির্মাণ করেছেন বিলাস বহুল বাড়ি। প্রথম তলার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। পাশপাশি বাড়ি সামনে নির্মাণ করছেন আধুনিক গেইট। যার নির্মাণ কাজ চলছে। পাশাপাশি বাড়ি আশে পাশে রয়েছে তাদের অটেল সম্পত্তি। আর সব কিছু হয়েছে পুলিশের এসআই আকবর হোসেন ভূইঁয়া বদৌলতে।
[৪] সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান নামে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতনের সাথে পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূইঁয়া জড়িত থাকায় হতবাক তার জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মানুষ। তারপরও তারা এই ঘটনায় মর্মাহত। তবে তারা বলছেন, পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূইঁয়া তার পুরো পরিবার বির্তকিত। তার পিতা ধর্ষণ মামলার আসামিও ছিলেন। স্থানীয় বিএনপি রাজনীতি তাদের ছিল আধিপত্য। সময়ের সাথে তারা এখন আ.লীগ রাজনীতিতে জড়িত। টাকার বিনিময়ে চাকুরী নিয়ে ছিলেন তিনি। পুলিশের চাকুরীতে যোগদান করে হয়েছে অসংখ্য সহায় সম্পত্তি মালিক। পাশপাশি তার সম্পত্তি হিসাব তদন্ত ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
[৫] উপজেলা আ.লীগে যুগ্ন আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি জানান, বিষয়টি আশুগঞ্জের জন্য লজ্জাজনক ও নিন্দনীয় কাজ। পাশপাশি পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূইঁয়া ও তার পরিবার আ.লীগের রাজনীতি সাথে কখনো জড়িত ছিল না। এই তিনি তার বিচার দাবি করেন।
[৬] তবে অভিযুক্ত আকবরের ছোট ভাই আরিফ ভূইয়ার দাবি তার ভাই এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে না। সম্পাদনা: জেরিন আহমে
আপনার মতামত লিখুন :