স্পোর্টস ডেস্ক : [২] সারা বিশ্বের নামি-দামি সব বোলারদের আতঙ্কের নাম এবি ডি ভিলিয়ার্স। বিশেষ করে রঙিন পোষাকে বোলারদের বুকে কাঁপন ধরাতে জুড়ি নেই এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের। আর নির্দিষ্ট করে ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি হয়ে গেলে তিনি যেন সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি ছুঁটিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে তিনি অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেন প্রায়ই।
[৩] চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) নিজের ফর্মের তুঙ্গে আছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। ৭ ম্যাচের তিনটিতেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ৫৭ গড়ে ও ১৮৫.৩৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২২৮। সর্বশেষ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৩ বলে করেছেন ৭৩ রান।
[৪] এই ইনিংসের পর প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ডি ভিলিয়ার্স। বাদ যাননি রয়েল চ্যালেঞ্জার্সের বেঙ্গালুরুতে তার সতীর্থরাও। কেউ তাকে বলছেন ’অতিমানব’, কেউ আবার বলছেন বিশেষ ব্যাটসম্যান ভিলিয়ার্স। দলটির উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ বলেন, এবি বিশেষ ব্যাটসম্যান। পিচটাকে খুব সহজ করে ফেলতে পারে। আমি আউট হওয়ার আগে যেটা দেখেছি। আমার মনে হয় শেষ কিছু ইনিংসে আমি খুব জোরে মারতে চাচ্ছিলাম। চেষ্টা করেছি বলের লাইনে এসে খেলতে। এটা কঠিন ছিল। বোলাররা কাটার এবং স্লোয়ার দিচ্ছিলো।
[৫] ফিঞ্চের মতো ডি ভিলিয়ার্সকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তার অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তার শত রানের জুটিতেই কলকাতার সামনে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় ব্যাঙ্গালোর। ম্যাচে জয় পায় ৮২ রানের বড় ব্যবধানে।
[৬] ভিলিয়ার্সকে নিয়ে কোহলি বলেন, এ উইকেট অনেক শুকনো ছিল। দিনটা বেশ ভালো ছিল তাই ভেবেছিলাম কোনো শিশির থাকবে না। কিন্তু একজন অতিমানব বাদে সব ব্যাটসম্যান এ উইকেটে অস্বস্তিতে ভুগেছে। আমরা ১৬৫-এর কাছাকাছি করা যায় কিনা, এ নিয়ে কথা বলছিলাম। কিন্তু আমরা ১৯৫ পেয়ে গেলাম। আপনারা জানেন সেটা কীভাবে সম্ভব হলো। এটা অবিশ্বাস্য।
[৭] নিজের এমন অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে চমকে গেছেন ভিলিয়ার্স নিজেও। তিনি বলেন, আমি নিজেই চমকে গিয়েছি। আমি সেরা হতে চাই। নিজের পারফরম্যান্সে খুব খুশি, এটুকুই বলতে পারি। গত ম্যাচে আমি শূন্য রানে আউট হয়েছি, খুব বাজে অনুভূতি সেটা। আমি খুশি যে অবদান রাখতে পেরেছি।- ক্রিকফ্রেঞ্জি