ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা সংকটে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে চীন থেকে কারখানা সরাতে চায় বিভিন্ন জাপানি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান চীন থেকে পুরোপুরি নিজেদের গুটিয়ে নিতে চাইলেও অনেকে আংশিক গোটাতে চায়। তবে, এর জন্য তাদের নানাবিধ বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। আইন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আজ সোমবার নিক্কি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে শ্রমিকদের নিয়ে।
অ্যান্ডারসন, মরি এন্ড টমোটসুন আইনি সংস্থার বেইজিং অফিসের প্রধান কো ওয়াকাবায়শি বলেন, ‘অনেক জাপানি প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করছে।’
অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে চীন আকর্ষণীয় গন্তব্য হলেও কিছু জাপানি প্রতিষ্ঠান সেখানে চলমান অলাভজনক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে, ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়াটা সেখানে কঠিন। আইনজীবী ইয়াসুয়ুকি সুজুকির মতে, তুলনামূলকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে আসা। এতে করে শ্রমিকদের চাকরি যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে না এবং তাদের জন্যও তা সহজ হবে।
যদি কোনো ক্রেতা না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে যে বিকল্প রয়েছে তা অতিরিক্ত ট্যাক্স এবং অনেক বেশি অন্যান্য খরচের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
চীনে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দেউলিয়া হওয়ার আবেদন খুবই বিরল। যে পদ্ধতিতেই ব্যবসা গোটানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, বেশিরভাগ বড় দেশগুলোর তুলনায় চীনে শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
চীনে কোনো শ্রমিককে ছাটাই করতে হলে প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। দেশি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অনেক বেশি ধার্য করা এবং অনেক সময় শ্রমিকদের বিভিন্ন অন্যায্য দাবিও পূরণ করতে হয়।
জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ইউনিটের হয়ে কাজ করা চীনা আইনজীবী ঝো জিয়াপিং বলেন, ‘জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সদর দপ্তরের সঙ্গে স্থানীয় ইউনিটের ভালো যোগাযোগের অভাবে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।’
সম্প্রতি জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা গোটানোর পরিকল্পনা করার খবর ছড়িয়ে পড়লে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।বিডি প্রতিদিন