মঈন্উদ্দীন: [২] রাজশাহী অঞ্চলে গত ১০ দিনের ব্যাবধানে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা বেড়েছে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চালের দাম। দাম উঠানামা, বিক্রি, মজুদসহ এই অঞ্চলের চালের সার্বিক কার্যক্রম একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৩] বিভিন্ন মহলের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে অটো রাইস মিল মালিক ও শতাধিক মজুদ ব্যবসায়ীদের একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেট এবছর সরকারের বোরো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে দেয়নি। বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ধান কিনে মজুদ করে বাজার নিজেদের আয়ত্তে করে এই সিন্ডিকেট। এখন তারা নিজেদের ইচ্ছামতো চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছে।
[৪] পাইকারী চাল বিক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার প্রায় ২০০ অটো রাইস মিল মালিক ও শতাধিক মজুদ ব্যবসায়ী বাজার রেখেছে নিজের দখলে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় এই চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
[৫] রাজশাহীর নওগাঁ, নাটোর, তানোর, চাঁপাইনবাগঞ্জসহ জেলার অন্যান্য বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহখানে আগে মানভেদে স্বর্ণা ৫০ কেজির প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। কিন্তু বর্তমানে বস্তা প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এছাড়া কাটারিভোগ সিদ্ধ ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় ও কালিজিরা চাল ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা, আঠাশ ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, মিনিকেট ২ হাজার ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বাসমতি ২ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[৬] খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের বলছেন, সরকারের শিথীলতা নীতি ও তড়িত ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে জনগণকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। ধান-চাল মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। হুট করেই সিন্ডিকেটটি চালের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ