শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:৫৯ সকাল
আপডেট : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ০৪:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিররঞ্জন সরকার: পুরুষদের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠত্বের বোধ, পুরুষ হয়ে জন্মানোর অহং

চিররঞ্জন সরকার : ধর্ষণের মতো অপরাধকে কোনো অভিন্ন খোপে বুঝতে চাওয়া উচিত নয়। যুদ্ধ বা দাঙ্গাহাঙ্গামার সময়ে ধর্ষণকে যখন পরিকল্পিত রণকৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে এক রকমের মন। নারী এখানে সম্প্রদায়ের ‘ইজ্জতের’ প্রতীক হয়ে উঠছে। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বা পুরনো কোনো অপমানের বদলা নিতে যখন নির্দিষ্ট কাউকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, তার পেছনে আর এক রকমের মন। নারী সেখানে শত্রুবিশেষ। আবার বন্ধুরা মিলে নেশাতুর অবস্থায় খানিক ফুর্তি করতে যখন কোনো মেয়েকে ধরে আনা হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মন। প্রেমিকা বা স্ত্রীর প্রতি বিশেষ মুহূর্তে বলপ্রয়োগ করা বা নিজের অধীনস্থ কারো অসহায়তার সুযোগ নিয়ে, হয়তো বা কিছু পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তাকে যৌন সংসর্গে বাধ্য করা। কিংবা নিজের অপ্রাপ্তি ও বঞ্চনার পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে নিজের চেয়ে ওপরতলার কোনো নারীকে ধর্ষণ করার পেছনেও কিন্তু আলাদা আলাদা মন। আবার অসহায় অল্পবয়সী কোনো নারীকে ধর্ষণের পেছনে রয়েছে আরেক ধরনের মন। সুতরাং ধর্ষণ মানেই যৌন ক্ষুন্নিবৃত্তির তাড়না যেমন নয়, একইভাবে ধর্ষণ মানেই শুধু ক্ষমতা কায়েম বা বাগে আনার চেষ্টাও নয় বোধ হয়। বাবা যখন মেয়েকে ধর্ষণ করছে বা দাদু নাতনিকে, তার পেছনে কোন মন? যে মন বা মনের অভাব থেকে হুলো বেড়াল মাঝে মাঝে নিজের ছানাদের খেয়ে ফেলে, সেটাই কী।

কোনো ধর্ষণকারীই তো চাঁদ থেকে পড়ে না। তারা আমাদের এই সমাজেই জন্ম নেয়, বেড়ে ওঠে। তাদের মনস্তত্ত্বে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠত্বের বোধ, পুরুষ হয়ে জন্মানোর অহং। যার বীজ শুধু ধর্ষণকারীর ভেতরেই নয়, বিচারব্যবস্থা ও পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যেও রয়েছে। শহর, গ্রাম সর্বত্র পুলিশ কনস্টেবল, বিচারব্যবস্থার, কর্মী সবাই আসছেন এই মানসিকতা নিয়ে। পুলিশ নিজেই ধর্ষণ করছে এমন অভিযোগও তো কম নয়। আবার যিনি ধর্ষিতা হচ্ছেন সেই নারীর নৈতিকতা (অর্থ্যাৎ তিনি কুমারী কিনা, তার পোশাক কী রকম, পেশা কী, কেন রাত করে বাড়ি ফেরেন) এ বিষয় গুলো নিয়েও চুলচেরা আলোচনা আর বিচারও তো জোরেশোরেই চলছে। ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যেন, যে ধর্ষণ করেছে, সে নিগৃহীতার তুলনায় অনেক বড় মাপের মানুষ। এই সামাজিক অসুখ থেকে উদ্ধারের কোনো শর্টকাট পদ্ধতি আছে বলে মনে হয় না। তবে দেখেশুনে যেটুকু মনে হয়, প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। যার মধ্যে রয়েছে পুরুষ ও নারীকে সমান চোখে দেখার মূল্যবোধ তৈরি, পুলিশসহ সমাজের সকল ব্যক্তির মানসিকতার বদল, বিচারব্যবস্থার সংস্কার। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়