কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ডব্লিউএফপি প্রধান ডেভিড বিসলি বলেন, ডব্লিউএফপি এবং এর সহযোগীরা এ বছর ১৩৮ মিলিয়ন মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর চেষ্টা করছে যা আমাদের ইতিহাসে বৃহত্তম অগ্রগতি।
[৩] বিশ্বের দুই হাজারেরও বেশি বিলিয়নিয়ারকে, যাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি, এ ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়াতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন ডব্লিউএফপি প্রধান।
[৪] এক বিবৃতিতে বিসলি বলেন, ৬৯০ মিলিয়ন ক্ষুধার্ত মানুষের প্রত্যেকেরই শান্তিপূর্ণভাবে এবং ক্ষুধামুক্ত জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে।
[৫] জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক চাপ ক্ষুধার্তদের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
[৬] বিশ্বব্যাপী মহামারির ভয়াবহ প্রভাব আরও লাখ লাখ মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
[৭] বেঁচে থাকার জন্য ৩ কোটি মানুষ নির্ভর করে থাকে একমাত্র ডব্লিউএফপির ওপর, যেটি ছাড়া তারা মারা যাবেন এবং এক বছর তাদের খাওয়ানোর জন্য ডব্লিউএফপির প্রয়োজন ৪.৯ বিলিয়ন ডলার।
[৮] ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের আগেই জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলি বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করেছিলেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২০ সালে বিশ্ব সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।
[৯] সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, আফ্রিকায় পঙ্গপালের হানা, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং লেবানন, কঙ্গো, সুদান ও ইথিওপিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সংকট এ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :