সুজিৎ নন্দী : [২] নকশা অনুমোদন ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সহায়তার পরে রমনা পার্ক উন্নয়ন কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ১২ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কোভিড-১৯ কারণে ২৫ মার্চ থেকে পার্ক বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি খুলে দেয়ার কারণে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। পুরানো এবং নতুন গাছ সংরক্ষণ করে রমনা পার্ক উন্নয়ন কাজ চলছে। রাস্তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
[৩] ইতোমধ্যে পার্কের সকল জরিপ কাজ শুরু হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের পরে কুশলী নির্মাণ সংস্থা কাজ শুরু করেছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের কাজ শেষ হবার কথা ছিলো। কিন্তু সার্বিক কাজ শেষ হতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ১ বছর বাড়তে পারে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা যায়।
[৪] গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে করার কারণে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে। এখন রমনাপার্কে আসলে নতুন পার্ক দেখতে পাবেন। উন্নয়ন কাজ পুরোদমে চলছে। আধুনিক ওয়ার্কওয়ের পাশাপাশি অবসর যাপনের মুক্ত জায়গা রমনা পার্ক নতুন সাজে সাজবে।
[৫] তিনি আরো বলেন, পুরো কাজ শেষ হলে রমনা পার্কের দৃশ্যে মুগ্ধ হবেন দর্শনার্থীরা। অত্যাধুনিক তিনটি গণশৌচাগার, ১১টি উন্মুক্ত কফি কর্নার, শিশু কর্ণারে খেলার আধুনিক সরঞ্জাম ও রাইড বসানো হবে। পুরানো ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার ফুটপাত সিরামিক ইটের রাস্তা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
[৬] সূত্র জানায, প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠান অংশ প্রয়োজনে ব্যয় বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৩৮ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। জানা যায়, টেন্ডারে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহন করে। প্রতিটি প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১০ ভাগ কমে দর দাখিল করেছে তিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি থাকার কারণে কুশলী নির্মাণ সংস্থাকে কাজ দেয়া হয়েছে।
[৭] বছরের শুরুতেই পার্কের চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা থাকবে। লেক পুনঃখনন করে বাড়ানো হবে দৈর্ঘ্য, থাকবে আধুনিক বেঞ্চ ও লেকের ওপর ব্রিজ। সারা বছর পানি রাখার ব্যবস্থার পাশাপাশি করা হবে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা এবং ল্যান্ড স্কেপিং বনায়ন।
[৮] নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত উল্লাহ বলেন, প্রকল্প অনুযায়ি রমনার লেক খনন করে দৈর্ঘ্য বাড়ানো হবে। দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চ নির্মাণ, লেকের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। লেকে সারা বছর পানি রাখার ব্যবস্থা করা হবে। পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা এবং ল্যান্ড স্কেপিং বনায়ন করা হবে। পানির ফোয়ারা, লেক আইল্যান্ড থাকবে। সম্পাদনা: বাশার নূরু