নোয়াখালী প্রতিনিধি: [২] নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে।
[৩] পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী জেলা ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ হেডকোর্য়াটারের নির্দেশে মামলা দুটি তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে তারা মামলাটি পেয়েছেন।
[৪] এ বিষয়ে পিবিআইয়ের অফিসাররা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। যেহেতু বেশ কয়েকজন আসামি রিমান্ডে রয়েছেন তাই আরও কিছু কাগজপত্র তারা বুঝে নিচ্ছেন বলেও জানান মিজানুর রহমান।
[৫] তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে পিবিআইয়ের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা শুরু থেকে এ মামলার বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।
[৬] এরআগে মামলা দুটি বেগমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাক আহমেদ তদন্ত করেছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়িতে আসেন। বিষয়টি দেখতে পান স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ আনেন। এ সময় তারা ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেন, এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন।
[৭] ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ ৮ আসামি রিমান্ডে রয়েছে।
[৮] বৃহস্পতিবার আসামি আব্দুর রহিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ মেম্বারকে রিমান্ড শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্পাদনা: হ্যাপি