সুজিৎ নন্দী : [২] ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি রাজধানীতে অবৈধ ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। অন লাইনে ক্লাস করা শিক্ষার্থীরা মোবাইল ডাটা কিনে ক্লাস করছে।
[৩] সিটি করপোরেশন বলছে, ক্যাবল ব্যবসায়ীরা করপোরেশনের ল্যাম্পপোস্টসহ সম্পদ ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও তারা করপোরেশনকে রাজস্ব দিচ্ছে না। তাই রাজস্ব বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন নগরী সাজাতে তারা এই অভিযান পরিচালনা করছে।
[৪] ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতারা জানান, আমরাও চাই সব ক্যাবল মাটির নিচে অপারেট হোক। কিন্তু কিভাবে। এ কাজের দায়িত্বে যারা রয়েছে তাদের কতটা সক্ষমতা আছে সেটা তো দেখতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে এভাবে তার কাটা হলে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা আরো জানান, এই যুগে কোনও মানুষ তো পাঁচ মিনিট ডিশ বা ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে চায় না বা পারে না। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় যে যার মতো করে অপারেট করছে।
[৫] সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমএ হাকিম জানান, ঝুলন্ত তার নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা শহরের যৌক্তিকতা দেখেছে। মাটির নিচে ক্যাবল নেওয়ার জন্য তারা যৌথভাবে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা উত্তর সিটির সহযোগিতা পাচ্ছি। দক্ষিণ সিটির কাছে আমরা সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
[৬] বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, আপনার অফিস বা বাসার তার কেটে দিলে আপনি কি বসে থাকবেন? আমরা কীভাবে ক্যাবল অপারেট করবো। কিন্তু করপোরেশন সেটা না করে গায়ের জোরে সব করার চেষ্টা করছে।
[৭] ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, সিটি করপোরেশনের ভূমি বা অন্য কিছু ব্যবহার করতে হলে আইন অনুযায়ি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তারা নেয়নি। তাই আমাদের এ অভিযান। আর অভিযানের পর কোথাও পুনঃসংযোগ স্থাপন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: বাশার নূরু