শিমুল মাহমুদ: [২] নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা এখন ভদ্রলোক সেজেছে। তারা বলছে আমরাও ধর্ষকদের বিচার চাই। আমরা তো তোমাদের সাথেই আাছি। তোমরা পদত্যাগ চাও কেনো?’
[৩] তিনি বলেন, ‘সরকারের গদিতে টান লেগে গেছে। তারা বুঝতে পারছে এই টানে গতি চলে যেতে পারে। তাই নানাভাবে আন্দোলনকে নষ্ট করতে চায়’।
[৪] মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এ আন্দোলন চালাতে হবে। থামা যাবে না। থামলেই দেখবেন ওদের চেহারা বদলে যাবে। আমরা ওদের পদত্যাগ চাই। কারণ এরা চোরের সর্দার। এরা ডাকাত, লুটপাটকারি; ধর্ষকদের আশ্রয়দাতা। এই সরকারের হাতে মানুষের জান-মাল ও ইজ্জত নিরাপদ নয়। এজন্য আমাদের দাড়াতে হবে’।
[৫] তিনি বলেন, ‘সাবেক ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের কাছে এক নারী ধর্ষণের বিচার চেয়েছিলো। বিচার না করায় তার নামে মামলা হয়েছে। আজকে দেশের ১৭ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধর্ষণ, গুম-খুন-হত্যা-লুটপাট-অত্যাচারের বিচার চায়। একটা বিচারও আপনি করেন না তাহলে কত গুলো মামলা আপনার নামে হওয়া উচিৎ’?
[৬] নাগরিক ঐক্যের এ আহবায়ক বলেন, কথায় আছে পেছনের ঢেউ এসে সামনের ঢেউ সড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশেও এই সরকার একটা ঘটনা ঘটিয়ে আগের ঘটনা গিলে ফেলছে। আমরা সব ঘটনা এক সাথে করছি এবং আমাদের দাবি আপনারা গেলে বাঁচি। এছাড়া বাচার উপায় নাই।
[৭] নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বছরে লক্ষকোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। এক লোক ৪ হাজার কোটি টাকা চুরি করে। এগুলোর নামে কোনো মামলাও নাই। আরেক নেত্রী ৩ বার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দুই কোটি টাকা তাও চুরি করেন নাই ব্যাংকে রেখেছেন। সেই দুই কোটি টাকা ৮ কোটি হয়েছে। তারপরও ১৭ বছরের জেল। তিনি খুব অসুস্থ। না তার চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে; না তার বাহিরে যাওয়ার অধিকার। সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এক সাথে রাজপথে নামতে হবে।
[৮] বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :