নুরনবী সরকার: [২] লালমনিরহাট ট্রাফিক পুলিশের উপ পরিদর্শক(টিএসআই) আইয়ুব আলীর ভাড়া বাসা চুরি হয়েছে। এসময় তার সরকারী গুলিসহ পিস্তলটিও চুরি হয়েছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে।
[৩] বুধবার(৭ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক চলেছে।
[৪] এর আগে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে শহরের বালাটারি এলকায় অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের বাসার নিচতলায় টিএসআই আইয়ুব আলী রুমে চুরির ঘটনা ঘটে।
[৫] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট শহরের বালাটারি এলকায় সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের মালিকানাধিন বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন লালমনিরহাট ট্রাফিক পুলিশের উপ পরিদর্শক (টিএসআই) আইয়ুব আলী। সাম্প্রতি সময় ছুটি নিয়ে সপরিবারের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি গ্রামের বাড়ি যান আইয়ুব আলী। ছুটিতে গেলেও তার পিস্তলটি ভাড়া বাসায় রেখে যান। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একটি চোর চক্র বাসায় প্রবেশ করে চুরি করে পালিয়ে যায়।
[৬] বাসার মালিক ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আইয়ুব আলী বাসায় প্রবেশ কারার পর জানতে পারেন বাসার সব কিছু অক্ষত থাকলেও বেড রুমে থাকা ট্রাঙ্ক ভেঙ্গে গুলিসহ পিস্তল, নগদ দুই লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। পিস্তল চুরির বিষয়টি দিনভর গোপন থাকলেও রাতে প্রকাশ পায়। এরপর জেলা পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। তবে এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চুরির কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
[৭] বাসার মালিক হাবিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে বাসার ভাড়াটিয়াদের শোরগোলে জানতে পারেন বাসার নিচ তলার ভাড়াটিয়া পুলিশের টিএসআই আইয়ুব আলীর বাসায় চুরি গেছে। তৎক্ষনিক বিষয়টি মোবাইল ফোনে টিএসআইকে জানিয়ে দেন তিনি।
[৮] বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাট সদর থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) মঈনুল হক বলেন, পুলিশ অফিসারের বাসায় চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো জিডি বা অভিযোগ হয়নি।
[৯] বুধবার রাত ১১ টায় সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, সিনিয়র অফিসারদের উপস্থিতিতে আইয়ুব আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গুলিসহ পিস্তলটি চুরি যাওয়া বাসায় ছিল কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি