ভূঁইয়া আশিক : [২] ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করে বা আহত করার চেষ্টা করে, তাহলে তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হবে। আর ধর্ষণের চেষ্টা করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হবে।’
[৩] এই আইন পরিবর্তনের দাবি প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দেশে এখন যে পরিমাণ ধর্ষণ হচ্ছে, নারী ও শিশুদের কোনো অবস্থাতেই কোনো নিরাপত্তা নেই। সাজা বৃদ্ধি করলে একটা রেস্ট্রিকশন আসতে পারে।
[৪] যে ধরনের অপরাধ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সমাজে, যেভাবে ধর্ষিত হচ্ছে নারী ও শিশু, যে মেয়েটি ধর্ষিত হচ্ছে, তার তো জীবনে একটা ‘দাগ’ পড়ে গেলো। তার সুশৃঙ্খল ব্যহত হলো। কাজেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যদি হয় ধর্ষকদের, তাহলে ধর্ষকেরা আর সাহস পাবে না ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করতে।
[৫] মৃত্যুদণ্ড বিধান করতে বাধা আসবে কেন? এতো বড় অপরাধ হবে, কিন্তু প্রতিরোধে সরকার আইন করতে পারবে না? তা তো হয় না।
[৬] সরকার চাইলে যেকোনো সময় এই আইন করতে পারবে। যদি সংসদ না থাকে তাহলে প্রেসিডেন্ট অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন, পরে সংসদ বসলে পাস করিয়ে নিতে পারবে।