ইসমাঈল ইমু: [৩] বুধবার (৭অক্টোবর) ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা সেনানিবাসে ছয় ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
[৪] কুমিল্লা সেনানিবাসের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল আসিফ আজমিনের নেতৃত্বে ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন।
[৫] মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বর্রপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন এবং ৫ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন আজকের কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির নিকট হতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।
[৬] এসময় সেনাপ্র্রধান বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
[৭] সেনবাপ্রধান আরো বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। একই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যনা উপস্থিত ছিলেন।