শরীফ শাওন: [২] গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের সিইও ড. কাকন নাগ বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন কার্যক্রম সফল করতে হলে নুন্যতম ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে ইমিউনিটি তৈরি করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার (ডব্লিওএইচও) তথ্যমতে, তারা ৩ শতাংশ জনগণকে ভ্যাকসিন সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
[৩] ড. কাকন নাগ বলেন, বৈশি^ক ভাবে প্রয়োজন অন্তত ৭ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। তবে ট্রায়ালে থাকা অধিকাংশ ভ্যাকসিন কোম্পানির তথ্যমতে দুটি করে ডোজ প্রয়োজ করতে হবে। অর্থাৎ মোট ডোজের প্রয়োজন ১৫ লাখ। যা সরবরাহ করা বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থ্যার জন্য অসম্ভব। তাদের উপর নির্ভরতা নামমাত্রা প্রয়াস, যা সফলতার মুখ দেখবে বলে মনে করিনা।
[৪] তিনি বলেন, ট্রায়ালে থাকা সকল ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলোর একতে দেড় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বছরে উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। তবে বর্তমানে এই সক্ষমতা দ্বিগুণ করা হলেও ভ্যাকসিন আসতে কমপক্ষে ১ বছর সময়ের প্রয়োজন। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় ছাড়া তা পাওয়া যাবে না।
[৫] প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, মডার্না বা ফাইজার ভ্যাকসিনের সমতুল্য ব্যানকোভিড ভ্যাকসিন। বরং কিছু ক্ষেত্রে এই দেশী ভ্যাকসিনের ডাটা বাকি ভ্যাকসিনগুলোর থেকে অধিক ফলপ্রসূ। এছাড়াও সংরক্ষণের সুবিধা থাকায় আমরা আশা করি বহির্বিশে^ এই ভ্যাকসিনের চাহিদা বেশি থাকবে। ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পেলে দেশের ১৮ কোটি জনগণ স্বল্পমূল্যে এ সুবিধা ভোগসহ রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় সম্ভব।