ডেস্ক রিপোর্ট: ১১ বছরের শিশুকে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের আবুরখীল গ্রামের নন্দনকানন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত সাধন বড়ুয়া একই এলাকার মৃত যামিনী বড়ুয়ার পুত্র।
এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা সুকুমার বড়ুয়া ৫ অক্টোবর (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাউজান থানায় উপস্থিত হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) ধারায় মামলা (৭/তাং-০৫-১০-২০২০) দায়ের করেন। তিনি বলেন,গত ৩ অক্টোবর আবুরখীলে আমার বোন প্রতীমা বড়ুয়ার বাড়িতে থাকা আমার ১১ বয়সী কন্যাকে ধর্ষণ করেন সাধন বড়ুয়া নামের এক নরপশু।
ঘটনার দিন বিকাল চারটার দিকে আমার বোনের বাড়ির প্রতিবেশী সাধন বড়ুয়া আমার মাতৃহারা কন্যাকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে সাধনা কুটিরে নিয়ে গিয়ে কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে পাঁচশত টাকার একটি নোট ধরিয়ে দেন। পরে আমার অবুজ মেয়েটি ঘরে ফিরে তার ফুফুকে জানিয়ে দেন।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় ধর্ষক সাধন বড়ুয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার এই মাতৃহারা শিশুটির ধর্ষণের বিচার চাই। তিনি আরো জানান, আজ (সোমবার) দুপুরে র্যাব নরপশু ধর্ষক সাধন বড়ুয়াকে তার বাড়ি হতে আটক করে নিয়ে গেছেন।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিত বিজয় বড়ুয়া বলেন, আজ দুপুরে র্যাব সাধন বড়ুয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছেন। এই ব্যাপারে র্যাব-৭ এর হাটহাজারী শাখার এএসপি রায়হান মুরাদ বলেন, আমরা এমন কাউকে আটক করি নি। তবে অভিযান পরিচালনা করব।
এই ব্যাপারে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে আগামীকাল(মঙ্গলবার) মেডিকাল টেস্টের জন্য প্রেরণ করা হবে। র্যাব কর্তৃক আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বাদীর কাছ থেকে শুনেছি। তবে, এখনও সত্যতা পায় নি।
উল্লেখ্য, ভিকটিমের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ভেদভেদী এলাকায়। ৭ বছর পূর্বে ভিকটিম শিশুটি মা মারা যান। বাবা সুকুমার বড়ুয়া চট্টগ্রাম নগরীতে চাকরি করেন। মা মারা যাওয়ার পর হতে পারিবারিক অসুবিধার কারণে ভিকটিম শিশু কন্যা ও তার এক ভাই রাউজান উপজেলার অবুরখীলে ফুফুর বাড়িতে থাকেন। ভিকটিম শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
ইত্তেফাক
আপনার মতামত লিখুন :