তন্ময় আলমগীর: [২] কিশোরগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির চালক ও যাত্রী মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এক পথচারীসহ আরো তিনজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৩] নিহতরা হচ্ছেন, সিএনজিচালক বুলবুল (৪০), জেসমিন (২৭) ও জেসমিনের মা (৬০)। এছাড়া আহতরা হচ্ছে, নিহত জেসমিনের ছোটবোন মুক্তা (২২), জেসমিনের চার বছর বয়সী শিশুপুত্র ও পথচারী সিদ্দিক মিয়া (৬০)।
[৪] সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কামালিয়ারচর এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
[৫] নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালক বুলবুল কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এবং জেসমিন জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদর্শী গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে।
[৬] পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেসমিন তার মা-বোন ও শিশুপুত্রকে সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে পাকুন্দিয়ার বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে।
[৭] পথে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কামালিয়ারচর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো ট-১১-৭৯৩২) সাথে তাদের সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই জেসমিন ও তার মা মারা যান।
[৮] এছাড়া সিএনজিচালকসহ অন্যরা গুরুতর আহত হন। আহতদের কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজিচালক বুলবুল মারা যান।
[৯] কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ট্রাক ও ট্রাকের হেলপারকে হাইওয়ে পুলিশ আটক করেছে। তবে ট্রাকচালক ঘটনার পর পরই গাঢাকা দিয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ