ইসমাঈল ইমু ও সুজন কৈরী : [২] লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স গাড়িতে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো চার মৃতদেহের আদলে ফেন্সিডিল বহনের সময় চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। চার কফিন খুলে উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার বোতল ফেন্সিডিল। জব্দ করা হয় অ্যাম্বুলেন্সটিও।
[৩] রোববার রাতে রাজধানীর শাহবাগের গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে ওই চার জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- মাহাবুবুল হাসান, হাসানুর রহমান সবুজ, মো. সোহেল মিয়া এমিল ও রোমন।
[৪] এছাড়া পৃথক অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি পিকআপ থেকে এক হাজার বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার ও মো. শামীম হোসেন (৪১) এবং আলামিন সরদার (৩৩) নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
[৫] ডিবির গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী কৌশল হিসেবে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশের আদলে ফেন্সিডিল বহন করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে যাত্রী সেজে লাশবাহী গাড়ীর পিছনে আসছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স থেকে চারটি কফিন উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি কফিন থেকে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশের আদলে দুটি করে বস্তা ছিল। একেকটি বস্তায় ২৫০ বোতল করে ফেন্সিডিল ছিল।
[৬] পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রোববার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুরের বেড়ীবাঁধ এলাকা থেকে এক হাজার বোতল ফেন্সিডিলসহ শামীম ও আলামিন নামের আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা একটি পিকআপে করে ফেন্সিডিলগুলো বহন করছিলেন। অভিযানকালে মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপটিও জব্দ করা হয়েছে।
[৭] এসি মাহবুবুল আলম বলেন, আটকরা সীমান্তবর্তী এলাকা কুমিল্লা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেন্সিডিলগুলো এনে ঢাকায় বিক্রি করতো। আটকদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক দুটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :