শিরোনাম
◈ মালয়েশিয়ার চাপের মুখে বাংলাদেশে নরম সিদ্ধান্ত, রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ে ছাড় ◈ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো ◈ ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি, দেখে নিন ছুটির তালিকা ◈ আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি ◈ স্টেডিয়াম দখল নিয়ে বিস্ফোরক আসিফ আকবর: ‘প্রয়োজনে মাঠের অধিকার আদায়ে মারামারিও করব’ ◈ রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় মেট্রোরেল কর্মীদের সব ছুটি বাতিল ◈ ২৭তম সংবিধান সংশোধনী: পাকিস্তানে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি, সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার সীমিত ◈ হার্ট অ্যাটাক হ‌য়ে হাসপাতালে ‌বি‌সি‌বির সা‌বেক সভাপ‌তি  ◈ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আমজনতার দলের তারেক রহমান ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২০, ০১:১৩ রাত
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২০, ০১:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে বিধবা নারীকে ধর্ষণ

বগুড়া প্রতিনিধি: [২] জেলার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চকখানপুর গ্রামে সরকারি ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হতদরিদ্র বিধবা নারীকে ধর্ষণ করেছে। মো.কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক গ্রাম্য মাতব্বর। তিনি উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চকখানপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে । উক্ত ঘটনায় ধর্ষণের শিকার বিধবা নারী বাদি হয়ে রোববার দুপুর ২টায় গ্রাম্য মাতব্বর কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

[৩] এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চকখানপুর গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে (২৮) দীর্ঘদিন ধরে বিধবা হয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। অভাব অনটনের সংসার জীবিকার তাগিদে মেয়েটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করেন। এভাবে কষ্ট করে দিন যাপন করছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়েটির অভাব-অনটনের সুযোগ নেয় একই গ্রামের মাতব্বর কামরুল ইসলাম।

[৪] তিনি মেয়েটিকে বিধবা ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এমনকি কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন কামরুল ইসলাম। সম্ভ্রমহানীর পরও মেয়েটিকে ভাতার কার্ড করে দেয়নি গ্রাম্য মাতব্বর কামরুল। এমত অবস্থায় গত শনিবার বিাগত রাতে মেয়েটির বাড়িতে যান মাতব্বর কামরুল ইসলাম। এরপর মেয়েটির সাথে শারীরিক সর্ম্পকের চেষ্টা করেন। কিন্ত এতে রাজী না হওয়ায় মেয়েটিকে মারধর করেন গ্রাম্য মাতব্বর কামরুল। এরপর ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে যায়।

[৫] পরবর্তীতে ঘটনাটি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এক্ষেত্রে জরিমানা হিসেবে তাকে মোটা অঙ্কের টাকাও দিতে চাওয়া হয়। তবে তাদের সেই সব প্রলোভন ও চেষ্টা ব্যর্থ করে আইনের আশ্রয় নেন ভুক্তভোগী নারী। ঘটনার পর থেকে গ্রাম্য মাতব্বর কামরুল পলাতক

[৬] শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদক-কে বলেন, বিধাবা নারীকে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেছে বলে । এজাহার করেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়