অমি রহমান পিয়াল : সুন্দরী এক মেয়ে ঝর্ণায় গোসল করতেছিলো, হঠাৎ সেখানে কুৎসিত এক লোক আইসা হাজির। সুন্দরী গা ঢাকার চেষ্টা করতেই লোকটা কইলো, ডোন্ট ওরি, আমি জ্বিনের বাদশা, তোমার তিনটা খায়েশ পূরণ করতে আসছি। তুমি যেকোনো জিনিস চাইতে পারো, তবে একটা কথা, ইচ্ছা পুরা করতে হইলে আমার সঙ্গে শুইতে হবে। মেয়ে রাজি, ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পর এসব কথা কে মনে রাখে। তো প্রাণভইরা তারা যা করার করলো। এরপর মাইয়া কয়, এইবার আমার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করো, লোকটা কয়, তার আগে বলো তোমার বয়স কতো? মেয়ে কয় পঁচিশ। লোকটা কইলো, এতো বড় হইছো এখনো জ্বিনপরীতে বিশ্বাস করো?
আমাগো বাঙালির অবস্থা ওই সুন্দরীর মতোই, আমরা দশটাকা নিয়া হাজার হইবো এই লোভে শেয়ার বাজারে ফাটকা খেলি, সর্বস্ব হারাইয়া সরকাররে গালি দিই। যেন সরকার কইছে তোমাগোরে সেকেন্ডারি মার্কেটে জুয়া খেলতে। আমরা বিশ্বাস করি নবিজীরে চান্দে দেখা না গেলেও দেলোয়ার হোসেন সাঈদীরে ঠিকই দেখা গেছে। আমরা মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বইলা গলা ফাটাই, আসলে জামাতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি যাতে তারা মালপানি ছাড়ে, তখন রাতারাতি আমরা ময়ূর আর কাকের পার্থক্য ভুইলা কাকের পেছনে কা কা করি। কাকও পেখম লাগায়া দিব্যি ময়ূর সাজে। হায়রে লোভ। টাকাই তো? কয় টাকা? যখন মজুরি চাবি তখন দেখবি কাউয়া কইছে কাকাকাকাকাকা, ল এতো টা ‘কা’ দিলাম। পুনশ্চ: বাংলাদেশে ইনফিরিওটি কমপ্লেক্স মহামারি রূপ নিছে। আফসুস! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :