শরীফ শাওন: [২] আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানান, সাগরে দুয়েকটি লঘুচাপ হতে পারে, তার কোনোটি ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
[৩] আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, লঘুচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সুনির্দিষ্টভাবে তা বলা যাবে না। সাগরে এখন যে লঘুচাপ রয়েছে, তা নি¤œচাপে রূপ নেওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
[৪] অক্টোবর মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। এ মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
[৫] সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাগরে লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল দুই দফা। সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হলেও পরে তা দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল সিলেটে। লঘুচাপের প্রভাব এবং সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে ২১ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হয়েছে। রংপুরে এক দিনে বছরের সর্বোচ্চ ৪৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে এ সময়।